সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলায়। ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনৈতিক আবহ। ভোটের আগে জনসংযোগের জোর দিচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শুনতে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন ‘দিদির দূত’। শনিবার পটাশপুরের বিভিন্ন প্রান্তে জনসংযোগ সারলেন মেদিনীপুরের তারকা বিধায়ক জুন মালিয়া। সোনারপুরের পোলঘাটে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র। শুনলেন এলাকাবাসীর অভাব-অভিযোগের কথা। শনিবার সকালে তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া প্রথমে পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের গোকুলপুরের তুলসিচারা মন্দিরে যান। পুজো দেন সেখানে। পায়রা উড়িয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচীর সূচনা করেন জুন। এরপর বিশ্বনাথপুর গার্লস হাইস্কুলে যান জুন। ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক। মিড ডে মিল থেকে পঠনপাঠনের কোনও সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন জুন। তিনি বলেন, “আমরা এখানে ক্ষোভ বিক্ষোভের কথাই শুনতে এসেছি। তাই সমস্যা শুনবই।”
এদিন স্থানীয় বুথ সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র কুইল্যার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন বিধায়ক। ঠিক ঘরের মেয়ের মতো উঠোনে বসে দুপুরের খাবার খান তিনি। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, আলুভাজা, শাকের তরকারি, মুড়িঘণ্ট, চিংড়ির মালাইকারি, মাছের ঝোল। শেষ পাতে জুন খান চাটনি, পাঁপড়, দই ও মিষ্টি। ওই এলাকায় আরও একাধিক কর্মসূচী রয়েছে জুনের। ওই এলাকাতেই রাত্রিবাসও করার কথা রয়েছে তাঁর। এদিকে, শনিবার সোনারপুরের পোলঘাটে যান ‘দিদির দূত’ বিধায়ক লাভলি মৈত্র। কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও স্কুটিতে চড়ে জনসংযোগ সারেন তৃণমূল বিধায়ক। শুনলেন এলাকাবাসীর অভাব-অভিযোগের কথা। ‘দিদির দূত’দের কোনওভাবে মেজাজ হারালে চলবে না বলেই জানিয়েছেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক।