মোদীর আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এত শাখা বন্ধ হয়েছে, যে সেটা এক নয়া রেকর্ড গড়েছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সুযোগ সারা দেশে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ব্যাঙ্ক শিল্প জাতীয়করণের মতো বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সারা দেশে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠেছিল ব্যাঙ্কের হাজার হাজার শাখা। মনমোহন সিংহের আমল পর্যন্ত এই ধারাটিই চলেছে। তবে, হঠাৎই ধারা বদল মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে।
একদিকে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনাকে সামনে রেখে প্রচারের ঢক্কানিনাদ, নোটবন্দীর ভূমিকম্প, তার উপর হঠাৎ জিএসটি চালু করে ছোট-মাঝারি শিল্পের নাভিশ্বাস ওঠার পথ প্রশস্ত করা। অন্যদিকে তখনই নিঃশব্দে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা কমিয়ে ফেলা। এনডিএ সরকারের প্রথম দফায় হাজার হাজার শাখা বন্ধ হয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে, একই রকমভাবে তালা ঝোলানোর প্রক্রিয়া জারি আছে মোদীর দ্বিতীয় দফাতেও।
ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে আরও খারাপ খবর রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে দূরন্ত গতিতে চলছে জালিয়াতির ঘটনা। বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। ২০২০-২১ সালে ৯,৯৩৩টি জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাঙ্কগুলির ক্ষতির বহর ৮১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। পরের অর্থবর্ষে ৭,৯৪০টি জালিয়াতিতে খোয়া যেতে বসেছে ৪০ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২, এই দুই অর্থবর্ষে দেশের ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ১৭ হাজার ৮৭৩টি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে ১ লক্ষ ২২ হাজার ২১৭ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যাঙ্কগুলি।