একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। এখনও সেই ধারা অব্যাহত। পরিস্থিতি এমনই যে পঞ্চায়েত ভোটের আগেও দলের একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গেরুয়া শিবির। আর তাই মরিয়া হয়ে পাল্টা ভাঙনের কৌশল ঘোষণা করেছে বঙ্গ বিজেপি।
দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ‘অন্য দল থেকে কেউ এলে বেছে বেছে নেব। খুব বেশি নেব না।’ আর সুকান্তর এই ঘোষণা নিয়ে দলের মধ্যেই এখন প্রশ্ন উঠছে, পঞ্চায়েত ভোটে পদ্ম শিবিরে কি প্রার্থীর আকাল? ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ৭২ হাজারের বেশি আসন রয়েছে। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রার্থী পাওয়া যাবে না বলেই কি অন্য দল ভাঙানোর এই কৌশল? নাকি পদ্মের বিধায়ক তৃণমূলে চলে যেতে পারে, তা বুঝেই এই মন্তব্য করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
জানা গিয়েছে, এই দল ভাঙানোর ঘোষণা নিয়ে বিজেপির মধ্যেই আপত্তি রয়েছে। অন্য দল থেকে লোক আনা নিয়ে পদ্মশিবিরে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছিল। যা এখনও চলছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন এবং এখনও দলে রয়েছেন এরকম অনেক নেতাকেই বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। তাই বারে বারে দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসছে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারদের। আর তা সামাল দিতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। ফলত, কেন ফের আবার অন্য দল থেকে লোক নিয়ে আসার ঘোষণা করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বঙ্গ বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীরা।