বাংলাজুড়ে জনপ্রিয় হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘মা ক্যান্টিন’। এবার বাংলার শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও পাড়ি দিতে চলেছে এই ব্যবস্থা। গ্রামীণ হাসপাতালে ‘মা ক্যান্টিন’ চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। মাত্র পাঁচ টাকায় ডাল, সবজি-সহ ডিম-ভাতের সুবিধা গ্রামের মানুষজনও পেতে চলেছেন। ইতিমধ্যে দেড় কোটিরও বেশি উপভোক্তা সরকারি এই রান্না করা খাবারের পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, মাসে ১৫ লক্ষ মানুষ মা ক্যান্টিনের খাবার গ্রহণ করেন। এবার বিভিন্ন পুরসভায় আরও বেশি করে এই ক্যান্টিন খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রাম থেকে মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা মানুষের মুখে সামান্য মূল্যে ডিম-ভাত তুলে দেওয়া হবে। এবার সব মহকুমাতেই মা ক্যান্টিন পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি সারছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা) মা ক্যান্টিনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ করে থাকে। মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালে এই ক্যান্টিন আছে। দুপুরে মেলে খাবার। সেই একই ধাঁচে এবার মহকুমার সমস্ত হাসপাতালগুলিতেও মা ক্যান্টিন চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি মা ক্যান্টিনের সূচনা হয়। এই মিল প্রতি দশ টাকা করে ভর্তুকি দেয় রাজ্য সরকার। প্রতি মিলে নেওয়া হয় পাঁচ টাকা। প্রথমে কলকাতা এবং পরে সাতটি কর্পোরেশন-সহ এখন ১২১টি পুরসভায় এই ব্যবস্থা আছে। সম্প্রতি স্কুলের মিড-ডে মিলে মুরগির মাংস-ভাত দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। এমনকী কিছু পুরসভাও মা ক্যান্টিনে সপ্তাহে একদিন ডিমের বদলে মাংস দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
