৩১ জানুয়ারি বীরভূম সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিন প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হতে পারে বোলপুরে। পরের দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান হতে পারে জেলায়। মমতা জেলায় থাকাকালীন স্থানীয় নেতাদের বৈঠকে ডেকেও আলাদা করে কথা বলতে পারেন।
তৃণমূলের এক রাজ্য নেতা বৃহস্পতিবার বলেন, তাঁকে নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক জেলা সংগঠন নিয়ে অনুব্রত ছিলেন অনবদ্য। গোটা জেলায় সংগঠনের উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল। এই মুহূর্তে সম্ভবত আর কোনও জেলা নেই যেখানে জেলা সভাপতি সবাইকে নিয়ে চলতে পারছেন বা তাঁকে নিয়ে সবাই সন্তুষ্ট। কিছুটা টালমাটাল অবস্থা নদিয়ায়।
এখন অনুব্রত অনুপস্থিত থাকায় বীরভূমেও শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাই এই দুই জেলা দূর থেকেও হল সরাসরি নজর রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, দলের মধ্যে একটা ধারণা রয়েছে যে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে যেখানে যেখানে দুর্বল, সেখানেই জেলার নেতাদের বিপাকে ফেলে ওরা জমি পেতে চাইছে। সবটাই হিসাব করে করছে ওরা। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন মজবুত রাখা সবচেয়ে জরুরি। নিচুতলার সংগঠন, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন থাকলে ভোট আসবেই। সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।