প্রজাতন্ত্র দিবসে এ বার বাংলার ট্যাবলোকে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে দিল্লি। সরকারিভাবে সব সময়ে জানানো হয় যে কোন কোন রাজ্যের ট্যাবলো স্থান পাবে তা এক্সপার্ট কমিটি ঠিক করে। এতে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কিন্তু রাজনীতির ধর্মই সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ করা। এবং সব কিছু যে সত্যিই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ঠিক করা হয় তাও না বলেই মত অনেকের।
এ বার ট্যাবলোর জন্য নবান্নের থিম হল—আমিই দুর্গা। অর্থাৎ নারী শক্তির ক্ষমতায়ণ। অনেকের মতে, এই থিম রাজনৈতিকভাবেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের দর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারণ, একুশের নির্বাচনের আগে দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু করেছেন। গোয়া, মেঘালয়ে রাজনৈতিক বিস্তার করতে গিয়েও সেই এক প্রকল্পের কথা বলেছেন। বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্প দুনিয়া জুড়ে প্রশংসাও পেয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাংলার এই প্রস্তাবে দিল্লির বিশেষজ্ঞ কমিটি সায় দিয়েছে। তবে না আঁচানো পর্যন্ত নবান্ন স্বস্তিতে নেই। কারণ, প্রযুক্তিগত দিক থেকে ট্যাবলো ত্রুটিপূর্ণ রাখতে হবে। এ ব্যাপারে তাই পেশাদারদের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্র নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠনের পর প্রথম বছরে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার ট্যাবলো ঠাঁই পায়নি। প্রথমবার মোদী জমানায় বাংলার ট্যাবলো ছিল ২০১৬ সালে। সেবার ট্যাবলোর থিম ছিল-বাংলার বাউল। শুধু তাই নয়, ভক্তি এবং সুফি আন্দোলনের মিশ্র ফসল বাউলের তথা লোকশিল্পের মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা নিপুণ ভাবে তুলে ধরে সমস্ত ট্যাবলোর মধ্যে প্রথম হয়েছিল বাংলা।