ফের প্রকাশ্যে এল বাংলার প্রতি মোদী সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির দৃষ্টান্ত। বিগত বছরগুলিতে একাধিকবার তা প্রমাণিত হয়েছে। তা থেকে রেহাই পাননি বাংলার তাঁতিরাও। এ রাজ্যের তাঁতি ও বস্ত্রবয়ন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের ব্যাংক ঋণের আবেদন লাগাতার খারিজ হচ্ছে। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, প্রায় ৪০,০০০। বিগত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, ছয় মাসের মধ্যে বাংলার ১৫,২৯৮ জন তাঁতি ঋণের জন্যে আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে ১০,১০৮ জনের ঋণের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। অর্থাৎ ঋণ পাননি ৬৬ শতাংশ তাঁতিই। যাদের ঋণের আবেদন বাতিল করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই তাঁতি ক্রেডিট কার্ড ছিল। ডিআইসি অর্থাৎ জেলা শিল্প কেন্দ্রের মাধ্যমে, নিয়ম মেনে ঋণের আবেদনগুলি করা হয়েছিল। ব্যাংকের যাবতীয় নিয়ম মানা হয়েছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আবেদন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।
উল্লেখ্য, এর পাশাপাশি একই রকমভাবে বাংলার বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৪৮,১৫৩ জন কারিগর ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে ২৯৬৫৬টি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। এক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যানের হার ৬২ শতাংশ। প্রত্যাখ্যানের হার৷ এই ঋণের আবেদনগুলিও ডিআইসি দ্বারা যাচাই করা হয়েছিল। কারিগরদের সকলেরই ক্রেডিট কার্ড ছিল। এই বিপুল সংখ্যক ঋণের আবেদন বাতিল হওয়ার কারণ মোদী সরকারের নিয়মের প্যাঁচ। ক্ষুদ্র তাঁতি ও কারিগরদের জন্যেও প্যান কার্ডসহ বিভিন্ন নথি থাকা বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাধ্যতামূলক করে মোদী সরকার। আরবিআইও একই ধরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সাফ কথায়, মোদী সরকার এবং আরবিআইয়ের এই ধরণের বিজ্ঞপ্তিগুলি ক্ষুদ্র উদ্যোগের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনুমান, সারা দেশে প্রায় ১০ লক্ষ ক্ষুদ্র তাঁতির ঋণের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই এ নিয়ে কেন্দ্রের নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।