শেষ হওয়ার পথে কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘ এই পদযাত্রা শেষ হবে জম্মু-কাশ্মীরে গিয়ে। কংগ্রেস নেতৃত্ব এই যাত্রাকে ইতিহাসের দীর্ঘতম পদযাত্রা হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ঠিক এই কারণেই শেষটা ব্যপক জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে করতে চাইছে। সেই কারণেই জম্মু-কাশ্মীরে ভারত জোড় যাত্রা শেষের দিনের অনুষ্ঠান নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করছে দল।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত জোড় যাত্রা ৩০ জানুয়ারী জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে শেষ হতে চলেছে৷ এটাকেই ‘গ্র্যান্ড ফিনাল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পদযাত্রাটি ২০ জানুয়ারী জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করবে এবং ৩০ জানুয়ারী শ্রীনগরে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শেষ হবে৷ এই যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেস একটি সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করতে তার সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করছে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, সাংসদ, বিধায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রী সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই জম্মু-কাশ্মীরে উপস্থিত থাকবেন। গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য শ্রীনগরে কংগ্রেস প্রায় ২০০ টি রুম বুক করেছে।
কংগ্রেসের পদযাত্রা জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করার ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে। কারণ ২০১৯ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর এই অঞ্চলটি প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক কার্যকলাপ এবং জনসংযোগ প্রত্যক্ষ করবে। শুধু তাই নয় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মুখ গুলাম নবী আজাদের প্রস্থানের পর প্রথম সভাও হবে। কংগ্রেসের এই মেগা শোতে জম্মু-কাশ্মীরের অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা এই যাত্রায় যোগ দেবেন। যার মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক এবং ওমর আবদুল্লাহ, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির মেহবুবা মুফতি, মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামি এবং আওয়ামী লীগ নেতারা যাত্রায় যোগ দেবেন। তবে ভারত জোড়ো যাত্রা জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশের সময় প্রবল শীতের সাক্ষী হবে। তবে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।