রাজ্য জুড়ে পারদ পতন হলেও নন্দীগ্রামে যে শনিবারের ‘তাপমাত্রা’ বেশি থাকবে তা প্রত্যাশিতই ছিল। আলো ফোটার আগে থেকেই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শহীদ বেদীতে মালা দেওয়ার কোনও অধিকার নেই বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, শহীদদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন শুভেন্দু। ভূমি উচ্ছেদ কমিটির সঙ্গে শুভেন্দু বেইমানি করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন কুণাল।
৭ জানুয়ারি দিনটি প্রতি বছরই নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই দিন পালনকে কেন্দ্র করে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। তবে শুভেন্দু বিজেপিকে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বদলেছে ছবিটা। কে আগে মালা দেবে, কে পৌঁছবে শহীদ বেদীতে, তা নিয়ে চলে এক অদৃশ্য দড়ি টানাটানি। এবারও সেই তরজায় খামতি নেই।
কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর শহীদ বেদীতে মাল্যদান করার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। কারণ যাঁরা আন্দোলন করেছিলেন, তাঁরা সবাই এই মঞ্চে রয়েছেন। যাঁরা আগে গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁরা এখন শুভেন্দু অধিকারীর পিছনে ঘুরে বিজেপি করেন।’ কুণালের আরও দাবি, শুভেন্দু রাজনৈতিক স্বার্থ নন্দীগ্রামকে ব্যবহার করেছেন। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘শহীদের রক্ত নিজের কেরিয়ারের জন্য ব্যবহার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।’