কার্যত সেলুলয়েডের গল্পকেও টেক্কা দেবে এদের কাহিনী। দুজনেরই বয়স কুড়ি পেরিয়েছে। ইতিমধ্যে এদিকে সেদিকে চুরিতে খানিক পটুও হয়ে উঠেছে তারা। এবার বড়সড় একটা চুরি করে সপ্তাহান্তে নিউ ইউর্কে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করেছিল তারা। সেভাবে চুরিও করেছিল দুজনে। কিন্তু পুলিশকে ফোন করায় বাধল গোলমাল। মজাদার এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ জানাচ্ছে, সাহায্য চাওয়ার জন্য পুলিশের বিশেষ নম্বরে একটি ফোন আসে। দ্রুত তার উত্তর দেওয়ার জন্য অফিসাররা ফোন ধরেন। কিন্তু ওদিকে কেউ কথা বলে না। উলটোদিকের মানুষটিকে নীরব হয়ে থাকতে দেখে খটকা লাগে অফিসারদের। কেননা বিশেষ নম্বরটিতে তাঁরাই ফোন করেন, যাঁদের সাহায্যের একান্ত দরকার।
এরপর খোঁজখবর নিয়ে যে বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল সেখানেই চলে যায় পুলিশ। অফিসাররা দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ নেই। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাঁরা আরও বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যে, এই ঘরের মালিক ঘরটিতে থাকেন না। ঘরে ঢুকেই ওই যুবক ও যুবতীর হদিশ মেলে। তারা সম্ভবত ভেবেছিল, বাড়ির লোক হিসাবে পরিচয় দিয়েই পুলিশের চোখে ধুলো দেবে। কিন্তু তা আর হল কই! মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছিল যে, এই মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই-ই পুলিশকে ফোন করেছিল। সে আরও জানায় যে, যদি তাদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয় পুলিশ, তবে খুব ভালো হয়। পুলিশ তাঁদের মালপত্র বাইরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তারপর গাড়িতে করে নিয়েও যায়। তবে বিমানবন্দরে নয়, আইন মোতাবেক দুজনের জায়গা যেখানে হওয়া উচিত সেখানেই। একটি দোকানে দিনকয়েক আগে চুরি হয়েছিল। তার ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ এই ঘটনার পুরুষ অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পেরেছে। মহিলার নামেও রয়েছে একটি আবাসনে চুরির অভিযোগ। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছে প্রবল গুঞ্জন।
