যাত্রী পরিষেবা চালুর পরই পরপর দু’দিনে দু’বার পাথ ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতাদের অভিযোগের আঙুল ছিল তৃণমূলের দিকে। তবে আজ রেলের তরফে জানানো হয়, ট্রেনের ওপর পাথর ছোড়া হয়েছিল বিহার থেকেই।
এরপরই বিজেপিকে পালটা আক্রমণ শানানোর পথে হেঁটেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে গঙ্গাসাগর থেকে আজকে মমতা বলেন, ‘রেল নিজেই জানিয়েছে যে বিহারে ঢিল ছোড়া হয়েছিল। অথচ এখানে তিন দিন ধরে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে। মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। যারা এটা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মমতা এদিন আরও বলেন, ‘ঘটনাটি (পাথর ছোড়া) বাংলায় ঘটেনি, ঘটেছে বিহারে। বিহারের মানুষের ক্ষোভ থাকতেই পারে। গণতন্ত্রে মানুষের ক্ষোভ থাকতেই পারে। তা বলে বিহারকেও অপমান করলে চলবে না। আমি মনে করি তাদেরও (বন্দে ভারত) পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিহারে বিজেপি নেই বলে তারা পাবে না কেন?’
উল্লেখ্য, ট্রেনে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাতেই চিহ্নিত হয়েছে পাথর ছোড়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ নাগাদ নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পাথরের আঘাতে ট্রেনের জানলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সি-৩ এবং সি-৬ কামরার জানলা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই হামলায়। রেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়াগামী ট্রেনটি মালদা টাউন স্টেশনে ঢুকলে ইন্সপেকশনের সময় কাচের চিড় নজরে আসে। আরপিএফের সামসি পোস্টে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এর আগে এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। মালদার কুমারগঞ্জ এলাকায় এই হামলা হয় বলে জানায় রেল পুলিশ। পাথরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সি-১৩ কারমার একটি দরজা।