১৯৩০ সালে কলকাতা পুরসভার মেয়র হয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কলকাতার জল জমার সমস্যা দূর করার সংকল্প করেছিলেন। তার কিছুটা এখনও কার্যকর করা যায়নি। এ বছরই নেতাজির সেই স্বপ্নপূরণ করার অঙ্গীকার করলেন কলকাতার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, ‘নেতাজি মেয়র থাকাকালীন একদিন মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে চারিদিকে প্রচণ্ড জল জমে যায়, বিশেষ করে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায়। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রেইনকোট এবং গামবুট পরে তিনি নিজে অফিসারদের সঙ্গে এসপ্ল্যানেডে পুরসভার সদর দফতর থেকে হেঁটে পৌঁছন উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায়। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু আজ অবধি তা পুরোটার সমাধান হয়নি।’ ফিরহাদের স্বপ্ন, নেতাজি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূরণ করা। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমরা কাজটা শুরু করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছরে আমাদের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হল আদিগঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করা। পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি শহরে আদিগঙ্গা যেখানে ঢুকেছে তার কাছাকাছি দুধঘাটের কাছে একটি লকগেট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে আমরা আদিগঙ্গায় পরিষ্কার জল ঢোকাতে পারি।’ মেয়র জানান, আদিগঙ্গার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক ৬৩৮ কোটির ছাড়পত্র তার এই প্রচেষ্টায় কাজে আসবে। শহরে বায়ুদূষণ কমানকেও তাঁর এ বছরের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। এর পাশাপাশি বেআইনি প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগকে বন্ধ করে কলকাতাকে আরও পরিবেশবান্ধব একটি শহর হিসেবে গড়ে তোলার ভাবনাও যে তাঁর রয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে শহরকে সবুজ করতে পুরসভা ২০২৩ সালে ৫০ হাজার গাছ লাগাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
