২০২২-এর সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় ছিল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের ভোট। তা নিয়ে মেনস্ট্রিম মিডিয়ায় যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই আলোচনা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও। আর সেখানে প্রকৃত তথ্যের থেকেও বেশি ছড়িয়েছে বেশ কিছু ভুয়ো খবর! ‘অল্ট নিউজ’-এর ফ্যাক্ট-চেক রিপোর্ট তুলে ধরেছে এমনই কিছু ভুয়ো খবরের কথা সেই সঙ্গে ভুয়ো খবর ছড়ানো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তিত্বের কথাও!
উত্তরপ্রদেশ ভোট নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেস পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করেছে। এই নিয়ে ২০২২ সালে ১২৪টা ফ্যাক্ট চেক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে ‘অল্ট নিউজ’। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত বছর রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিজেপি সর্বোচ্চ ভুল তথ্য ছড়িয়েছে (৪৮.১ শতাংশ)। কংগ্রেস নেতারা ছড়িয়েছেন মোট ভুয়ো তথ্যের ৩৩.৮ শতাংশ। আম আদমি পার্টির ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানটা ১০.৪ শতাংশ আর সবচেয়ে কম তৃণমূল কংগ্রেস (২.৬ শতাংশ)। অন্যান্য দলগুলোর ক্ষেত্রে সম্মিলিত পরিসংখ্যান ৫.২ শতাংশ।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও ছড়িয়েছে অনেক ভুয়ো খবর। বিজেপি নেতারা দাবি করেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরাতে সাময়িক ভাবে যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছেন। কিন্তু ভারতের বিদেশ মন্ত্রকই সেই দাবিকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে। একই ভাবে কংগ্রেস নেতারা অন্ধ্রপ্রদেশের একটি উৎসবের ভিড়ের ছবি টুইটারে দিয়ে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সাফল্য বলে দাবি করেছিলেন! ফ্যাক্ট চেকিংয়ের তথ্য বলছে, ২০২২ সালে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীই সবচেয়ে বেশি কটাক্ষ ও রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তার পরই নাম রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং নরেন্দ্র মোদীর।
