রবিবার মধ্যরাতে দিল্লীর কানঝাওয়ালা-সুলতানপুরী এলাকায় একটি স্কুটি এবং গাড়ির সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর গাড়ির চাকায় আটকে যান স্কুটিতে থাকা ২০ বছরের তরুণী অঞ্জলি সিংহ। এরপর প্রায় ঘণ্টা খানেক তাঁকে গাড়ির চাকায় ছেঁচড়াতে-ছেঁচড়াতে ওই এলাকায় ঘুরতে থাকে গাড়িটি। পরে অঞ্জলির বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। যা নিয়ে উত্তাল রাজধানী। এই ঘটনায় রীতিমতো শিউরে উঠেছেন দিল্লিবাসী। অঞ্জলির পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অঞ্জলির মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের একটি বোর্ড অঞ্জলির দেহের ময়নাতদন্ত করে। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা করা হয়েছে। তা থেকে জানা গিয়েছে যে অঞ্জলির মাথার ঘিলু অনুপস্থিত। মাথার খুলি গহ্বরও খোলা অবস্থায় রয়েছে। শিরদাঁড়ার বেশ কয়েকটি জায়গা ভেঙে গিয়েছে বলে দিল্লী পুলিশ সূত্রের খবর। অঞ্জলির দেহের পাঁজরগুলি বুকের পিছন দিক দিয়ে উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে।
আট পাতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, অঞ্জলির সারা দেহ ধুলোমাটিতে মাখা ছিল। দীর্ঘ ক্ষণ গাড়ির নীচে অঞ্জলির দেহ আটকে থাকা অবস্থায় ছিল। ওই অবস্থায় গাড়িটি কয়েক কিলোমিটার চালানোর ফলে অঞ্জলির দেহে পোড়া দাগ লক্ষ করা গিয়েছে। এই ধরনের পোড়া দাগকে ‘ব্রাশ বার্ন’ বলা হয়। গাড়িটি চলতে থাকায় রাস্তার সঙ্গে অঞ্জলির দেহের চামড়ায় ঘষা লেগে এই পোড়া দাগ তৈরি হয়েছে। সারা দেহে ৪০টি ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। তবে তাঁকে কোনও ভাবে যৌন হেনস্থা করা হয়নি বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়নি। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পরীক্ষার জন্য তরুণীর লালারসের নমুনা এবং জিন্সের ছেঁড়া অংশ সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।