নতুন বছরের ২রা জানুয়ারি, অর্থাৎ আজ নজরুল মঞ্চ থেকে মোদী সরকারকে বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনার টাকা পাওয়া এবং একশো দিনের কাজের টাকা না পাওয়া নিয়ে বার্তা দিয়েছেন তিনি। এদিন নজরুল মঞ্চে দলের বিধায়ক-সাংসদদের নিয়ে বৈঠক রয়েছে। সেখানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। আর সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, “কে, কি বলল তাতে কান না দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। একেকটি জেলার একেকরকম ইতিহাস আছে। সেটা জেনে নিয়ে উন্নয়ন করতে হবে। একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে নমামি গঙ্গের বৈঠকে বলেছি। টাকা বকেয়া আছে। এরপর লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে কাজ করতে বললে অসুবিধা হবে। আবাস যোজনার টাকা আমরা কবে পেলাম? তারপর অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ তুলতে হয়েছে। একশো দিনের কাজের টাকা না পেলে পরেরটা হবে কী করে? তখন অসুবিধা হবে। এটা অসহযোগিতা। আমরা সহযোগিতা চাই। এখন প্রধানমন্ত্রীর মা প্রয়াত হয়েছেন। তাই শোক সপ্তাহ চলছে। এই নিয়ে এখন তাঁকে কিছু বলতে চাইছি না। ওনার সঙ্গে তিনবার দেখা করে বিষয়টি বলেছি।”
পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের মমতা জানান, ‘”১০ কোটি মানুষের জন্য নতুন অ্যাপ দিদির দূত। দুয়ারে সরকারের মতো মানুষের দরজায় যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। দুয়ারে সরকারের কাজ তিন চতুর্থাংশ হয়ে গিয়েছে। দুয়ারে সরকারের আর এক রূপ দিদির সুরক্ষাকবচ। দুয়ারে সরকার অনেকটা সমস্যার সমাধান করেছে। আরও কিছু বাকি আছে। সরকারের কাজ সরকার করবে। ১১ বছর হল সরকার চলছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস ২৫ বছরে পা দিয়েছে। সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে। বিনা পয়সায় মানুষকে সুবিধা দিতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র করা হয়েছে। নীচুতলায় কোনও কাজ পড়ে না থাকে দেখতে হবে।” গেরুয়াশিবিরকে কড়া ভাষায় বিঁধতে ছাড়েননি তিনি। “আগে গুলির ফোয়ারা দেখতাম আমরা। আজ যারা কাজ নেই শুধু বড় বড় কথা বলছে তাদের বলব আমরা যখন বিরোধী ছিলাম তখন ধ্বংসাত্মক কিছু করিনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে যে কুকথা এই রাজ্যে হয় তা কোথাও হয় না। উন্নয়নের তথ্য না দিয়ে প্রত্যেকদিন কুকথা বলে চলেছে। ভোটের কথা মাথায় রেখে কিছু করি না। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভারত, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ভারতের পক্ষে। আমাদের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। তাই মানুষের দরজায় যাবে তৃণমূল কংগ্রেস”, বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
