সম্প্রতি চীনে ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতেও। তবে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে দুশ্চিন্তারর মাঝেই মিলল খানিক স্বস্তি। বছরের প্রথম দিন সুখবর দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এক ধাক্কায় দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯০০ কমল। পয়লা জানুয়ারি প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১২০৯ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে দেশে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩, ৬৫৩। পরের ২৪ ঘণ্টায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ২, ৭০৬। গোটা দেশের মতো স্বস্তির খবর বাংলাতেও। শেষ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসরে রাজ্যেও দৈনন্দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। সুস্থতার হার বাড়লেও, করেনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বছরের প্রথম দিনের উৎসবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার অর্থাৎ ২০২২ সালের শেষ দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত রিপোর্টে ছিল উদ্বেগের ছায়া। শনিবারের রিপোর্টে ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২২৬ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ২৪৩। তবে, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অনেকটাই পরিবর্তন পরিস্থিতির। রবিবারের রিপোর্ট বলছে শেষ ২৪ ঘণ্টায় অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৪৭ কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ১২০৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি কমেছে কর্ণাটকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় হাজারের বেশি কোভিড আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন কর্ণাটকে। তবে, দক্ষিণের ওই রাজ্যে এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায় সতর্কতায় কোনও ছাড় দিতে নারাজ সরকার। করোনাবিধি মানা, কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। চিন সহ পাঁচ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের নিয়েও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। আজ থেকে চিন পাঁচ দেশ থেকে ভারতে আসার আগে জমা করতে হবে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট। করোনা নেগেটিভ হলে তবেই, চীন, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ড থেকে ভারতে আসা যাবে। এই দেশগুলি থেকে ভারতে আসার আগে য়ার সুবিধা পোর্টালে আপলোড করতে হবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট।