তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে কোনও আপস করা হবে না। সেই মতই এবার তৃণমূলের নজরে বেশ কয়েকটি জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদহের মতো জেলায় নজর দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েতের আগে মারিশদা আর তাতলা দুই উদাহরণকে সামনে রাখছে দল। দলের অন্দরে জমা পড়া সব রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী ২ তারিখ কড়া অবস্থার কথা জানাতে পারে ঘাসফুল শিবির। শুদ্ধিকরণ ও দীর্ঘ জনসংযোগ, নতুন বছরে এটাই হতে চলেছে তৃণমূলের লক্ষ্য। এই নির্দেশ দলের তরফে রাজ্যের সর্বত্র পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘দল ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ অভিষেক সমীক্ষা করিয়েছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট দেখেই পঞ্চায়েতে প্রার্থী হবে। অনেকে মনে করছে তাদের ভয় পাওয়ার কারণ আছে৷ তাই তারা পদত্যাগ করছে৷ তবে আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ আর বিরোধীদের কাছে কোনও ইস্যু নেই। আমাদের কাছাকাছি আসার মতো দলও নেই৷ দল শুদ্ধিকরণের কাজ এগোচ্ছে। দল কাউকে বাড়ি দিতে বলেনি। আবাস যোজনায় যারা দুর্নীতি করেছে তারা ক্ষমার অযোগ্য৷ সঠিক প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেবে দল।’ শুদ্ধিকরণের পথে দল যে হাঁটা শুরু করেছে, তা তৃণমূলের অতি সাম্প্রতিক কয়েকটি পদক্ষেপে স্পষ্ট। মঙ্গলবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পূর্ব মেদিনীপুরের শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নামে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে। দলের অন্তর্তদন্তে সেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। তারপরই দলের নির্দেশে তিনি ইস্তফাও দিয়েছেন। এই মডেল রাজ্যজুড়েই চলবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
