একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় ইস্তাহারে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ঋণদানের প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নির্বাচনে জিতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রল্পের কথা ঘোষণা করেন তিনি। ইতিমধ্যেই বাংলাজুড়ে পড়ুয়াদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে ক্রেডিট কার্ড। আরও একবার মিলল তার প্রমাণ। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণদানের অঙ্ক ছাড়িয়ে গিয়েছে হাজার কোটি টাকা! প্রশাসনের দাবি, যে ভাবে এই প্রকল্পে ঋণ পাচ্ছেন পড়ুয়ারা তাতে আগামী জানুয়ারি মাসে মাঝামাঝিতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণপ্রাপকের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
পাশাপাশি সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে গত আটমাসে এক হাজার ১০৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৩৭ হাজার পড়ুয়া ঋণ পেয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, চলতি মাসেই আরও ২১ হাজার পড়ুয়া ঋণ পেতে চলেছেন। স্টু়েডেন্ট ক্রেডিট কার্ড থাকলে উচ্চ শিক্ষার জন্য ২ লাখ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পান পড়ুয়ারা। এই ঋণের গ্যারেন্টার রাজ্য সরকার। এছাড়া সুদের একটা বড় অংশ দেয় রাজ্য সরকার। ফলে অনেক কম সুদে ঋণ পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা ঋণ নিয়ে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পড়াশুনা করা যায়। পড়ুয়ারা তাদের হস্টেল ফি, ল্যাপটপ কেনা, পড়াশুনার জন্য ভ্রমণের কাজে সেই ঋণ ব্যবহার করতে পারেন। ঋণ শোধ করার জন্য পড়ুয়ারা ১৫ বছর অবধি সময় পাবেন। এমনকী পড়ুয়াদের বাবা-মাও এই ঋণ শোধ করতে পারবেন। এর জন্য ব্যাঙ্কের কোনও প্রসেসিং ফি লাগে না। সরকারি তথ্য অনুযায়ী শুধু স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নয়, স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার প্রকল্পেও ঋণদানে এগিয়ে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। আগামী তিন বছরের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিকে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৬ কোটি টাকা ঋণদানের প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য। যা অত্যন্ত ইতিবাচক ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।