বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বলে আসছেন, বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থার অবসান দরকার। শুধু তাই নয়। অর্থহীন জনস্বার্থ মামলা এবং জামিনের আবেদনও সুপ্রিম কোর্টের শোনা উচিত নয় বলেই দাবি তাঁর। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে দিন দিন বিচারালয়ের বিরোধ ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। এবার যেমন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্ট থেকে রিজিজুকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়লেন— ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন হলে যদি তাঁরা হস্তক্ষেপ না করেন, সুরাহার ব্যবস্থা না-করতে পারেন, তা হলে তাঁরা আদালতে কী করতে বসে রয়েছেন? সংবিধানের ১৩৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের যে এই অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্টে কেন লম্বা ছুটি থাকবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনমন্ত্রী। আজ প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, নির্ধারিত শীতকালীন ছুটি অনুযায়ী শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে কোনও বেঞ্চ বসবে না। সরাসরি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ না তুললেও প্রধান বিচারপতির এই দুই মন্তব্যকে আইনজীবীরা মোদী সরকারের প্রতি বার্তা হিসেবেই দেখছেন। সুপ্রিম কোর্টে একটি জামিনের আর্জি শুনতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা যদি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করি, সুরাহা না দিই, তা হলে আমরা এখানে কী করছি? সুপ্রিম কোর্ট কিছু না করে সেটা কি সংবিধানের ১৩৬-তম অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন নয়? এই ধরনের আবেদনকারীর আর্জি শোনার জন্যই সুপ্রিম কোর্ট রয়েছে। আমরা এইরকম মামলার জন্যই রাত জেগে থাকি।’