শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। সেই কারণে আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এখনই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যাবে না। কিন্তু এফআইআর ছাড়াও গ্রেফতারি সম্ভব। উপায় বাতলে দিলেন খোদ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠকে নিজের গ্রেফতারির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি স্পষ্ট জানালেন, ‘কোথাও লেখা নেই গ্রেফতার করা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, বুধবার আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনায় বিরোধী দলনেতার গ্রেফতারির দাবি করেছেন কুণাল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘বলা আছে, আগামী দিনে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও এফআইআর করা যাবে না। পুলিশের কাছে অনুরোধ রাখব, তদন্ত যা চলছে চলুক। দলের কোনও হস্তক্ষেপ নয়। কিন্তু ‘নট টু অ্যারেস্ট’ যদি বলে, তাতে তাঁকে গ্রেফতারের কোনও কথা লেখা নেই। পুলিশ মনে করলে আজ এখনই শুভেন্দুকে গ্রেফতার করতে পারে। ৩-৪ জন ধরা পড়ল। জেরার সময় অভিযুক্তরা যদি আরও কারও নাম বলে তবে তার নামে এফআইআর না করেও গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।’
এ বিষয়ে আইনের নির্দিষ্ট ধারার কথা উল্লেখ করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, ‘আমার জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলছি, সিআরপিসি দেখুন, আইপিসি দেখুন। নাম নথিভুক্ত নাও থাকতে পারে। অন্য অভিযুক্ত হিসাবে আর কারও নাম জড়িত থাকলে তাকে গ্রেফতার করা যাবে। ১৬১ বা ১৬৪ এর ধারায় গ্রেফতার করা যায়। আমি, কুণাল ঘোষ বলছি, আমায় এইভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আমার উদাহরণ দিয়ে বলছি জামার কলার ধরে তাঁকে গ্রেফতার করে আনুক। যে কোনও মামলায় তাকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা যেতে পরে, নাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। এফআইআর-এ স্টে মানে নতুন করে এফআইআর করা যাবে না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী গ্রেফতারির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ৩ জন আসানসোলে মারা গিয়েছে। সেই ঘটনায় শুভেন্দুকে গ্রেফতার করে আনুক।’