অব্যাহত তোলপাড়। ক্রমশ চড়ছে পারদ। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন বগটুই-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুরহস্যের জট খুলতে এবার তদন্ত করবে সিআইডি। মঙ্গলবারই এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। আর এই নির্দেশ দেওয়ার পরেই আজ বুধবার রামপুরহাট থানা থেকে কেস ডায়েরি নেবেন গোয়েন্দারা। তবে লালনের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের অন্তত সাতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ডিআইজি সিবিআইয়ের নাম রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সিআইডির আধিকারিকরা আজ বুধবার আদালত থেকে কেস ডায়েরি সংগ্রহ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। খুন, তোলাবাজির অভিযোগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই তদন্ত করবে সিআইডি। লালন শেখের স্ত্রীয়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে এই তদন্ত হবে।
উল্লেখ্য, এফআইআরে ডিআইজি সিবিআই সহ আধিকারিক ও অফিসার মিলিয়ে ৭ জনের নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নাম রয়েছে এসপি সিবিআইয়ের। এছাড়া আরও চারজন অফিসারের নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যেরও নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু কেন তাঁর নাম রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পাশাপাশি, উক্ত এফআইআরে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারাতে মামলা রুজু করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩০২ খুনের ধারা, তোলাবাজি, অপরাধ মূলকষড়যন্ত্র, কটুক্তি, মারধর সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি একাধিক জামিন অযোগ্য ধারাও যুক্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে একাধিক বিতর্ক। অন্যদিকে ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প সিল করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি যে বাথরুমে এই ঘটনা ঘটেছে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি কোন অভিমুখে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।