ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। প্রবল বিতর্কের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্যু ঘটনায় এবার জনস্বার্থ মামলার আর্জি জানানো হল। কর্মরত কোনও বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে। কীভাবে সিবিআই-এর হেফাজতে মৃত্যু লালন শেখের, প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনজীবী বদরুল করিম ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এ সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। বগটুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এবার লালন শেখের রহস্যমৃত্যুতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন পরিবারের সদস্যরা। ক্রমশ চড়ছে বিক্ষোভের পারদ।
প্রসঙ্গত, লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। লালন শেখের মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি ‘খুন’? লালন শেখকে খুন করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে, খুন করলে কে করল, তা তদন্ত সাপেক্ষ। সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচাগারে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই বলছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে লালন শেখ। লালন শেখের গলায় ফাঁস থাকলেও শৌচাগারের মেঝেতে তার পা ঠেকে ছিল। সে ক্ষেত্রে গলায় ফাঁস পড়ল কী করে? উঠেছে এমনই প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই বীরভূম পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ২১শে জুন সিবিআই আদালতে চার্জশিট দেয়। তাতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে লালনেরই নাম ছিল। ঘটনার প্রায় ৯ মাস বাদে, চলতি ডিসেম্বরের ৩ তারিখ তাকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থকে ধরে আনেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার এই লালনেরই রহস্যমৃত্যুতে এখন প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি বিপাকে দেশের শাসকদল বিজেপিও।