সোমবার হাজরায় বিজেপির সভার আগে ডায়মন্ডহারবার থেকে আবার তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজনীতির ময়দানে বিরোধীদের গনতান্ত্রিক ভাবে পুঁতে দেওয়ার ‘হুঁশিয়ারি’ দিলেন অভিষেক। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে , নাম না করে বিজেপিকেই নিশানা করলেন অভিষক।
রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে ডায়মন্ডহারবার নিয়ে বিশেষ ভাবে সরব বিজেপি। একদা ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ওপর হামলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। ১০ ডিসেম্বর ২০২০’ র সেই ঘটনা ডায়মন্ডহারবারকে রাতারাতি জাতীয় রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রে এনে দিয়েছিল। সেই অভিযোগের তালিকায় সর্বশেষ সংযোযন, গত ২ ডিসেম্বর, ডায়মন্ডহারবারে শুভেন্দুর সভায় ভাঙচুরের ঘটনা।
গত কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ‘অতি স্পর্শকাতর’ কেন্দ্রের তালিকাতে ঢুকে পড়েছে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র। যদিও, কমিশনের মতে, কমিশনের কাছে সব কেন্দ্রই স্পর্শকাতর। এর সঙ্গে বিজেপির সন্ত্রাস অভিযোগের কোন সম্পর্ক নেই, ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের প্রার্থী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘হাইপ্রোফাইল’ অভিষেকের প্রার্থী হওয়ার কারনেই স্বাভাবিক ভাবে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রটি আলাদা গুরুত্ব পায় কমিশনের কাছে।
ডায়মন্ডহারবারে চতুর্থবারের এম পি কাপের উদ্বোধন করতে এসে অভিষেক বলেন, ’ডায়মন্ডহারবারের সব মা, ভাই, বোনের কাছে বলব ডিসেম্বর মাসের আর মাত্র কুড়ি, একুশটা দিন বাকি। তারপরেই এই বছর শেষ। ২০২৩ এর জানুয়ারির এক তারিখ থেকে আবার রাজনীতি হবে। আগামী কুড়িটা দিন ডায়মন্ডহারবারের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুধুমাত্র ফুটবল হবে।’