অবশেষে আগামীকাল, রবিবার রাজ্যে হতে চলেছে প্রাথমিকের টেট। প্রথম থেকেই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলে আসছেন, পর্ষদ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগে বদ্ধপরিকর। তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে বদ্ধ পরিকর পর্ষদ।
ইতিমধ্যেই পরীক্ষার বিশদ সময়সূচি ও গাইডলাইন প্রকাশ করেছে পর্ষদ। বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। তবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে। সকাল ১১টার পর আর কাউকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সকাল সাড়ে ১১টায় অ্যাডমিট কার্ড এবং পরিচয়পত্র দেখবেন পরিদর্শক। পরীক্ষার্থীরা টেস্ট বুকলেট হাতে পাবেন পৌনে ১২টায়। পরীক্ষার্থীরা ১১টা ৪৫ থেকে ওএমআর উত্তরপত্রে বিবরণী পূরণের জন্য সময় পাবেন। ১১টা ৫৯ পর্যন্ত এই বিবরণী পূরণ করা যাবে। পরীক্ষা শেষ বেলা আড়াইটেয়।
প্রসঙ্গত, ১৮ পাতার যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও রকম ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা থাকবে, যাতে একজনের হয়ে অন্যজন পরীক্ষা না দিতে পারেন। থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের চেক করে তারপর পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকানো হবে। সকাল ১১টার আগে সেন্টার ইনচার্জের হাতে প্রশ্ন যাবে না। ১১টার আগে পর্যন্ত প্রশ্নপত্র থাকবে থানায়। ১১টা ৪৫ মিনিটের আগে প্রশ্নপত্রের সিল খোলা যাবে না।
শুধু তাই নয়। ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল ফোন। পরীক্ষার্থীরা তো ফোন সঙ্গে রাখবেনই না, এমনকী সেন্টার ইনচার্জ, পরিদর্শকের মোবাইল ফোনও জমা থাকবে। পরীক্ষা হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না কোনও শিক্ষক। কেউ যাতে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে ঢুকে না পড়েন, তার জন্য থাকবে মেটাল ডিটেক্টর। অন্যদিকে, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত বাস পথে নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কসবা পরিবহণ অফিসে টেট পরীক্ষার্থীদের যাবতীয় পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কন্ট্রোল রুমও খোলা হচ্ছে।