অব্যাহত রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের দুয়োরানিসুলভ আচরণ। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হয়েছে বাংলা। এবার ফের প্রকাশ্যে এল তার দৃষ্টান্ত। কার্যত বিশ বাঁও জলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। সাংসদ দীপক অধিকারীর তথা দেবের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, এই প্রকল্পে এখনও টাকা বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। যা মেদিনীপুরবাসীর কাছে মোটেই সুখবর নয়। গত কয়েক দশক ধরেই ঘাটালের বন্যা রাজ্য প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ। প্রতি বছর বর্ষায় বানভাসি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের এই অংশ। গত বছর ঘাটালের দুরবস্থা দেখতে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলে নেমে কথা বলেছিলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সেই সফরেই ফের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আবেদন কেন্দ্রের কাছে জমা করতে নির্দেশ দেন মমতা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে ফের কেন্দ্রকে চিঠি দেয় নবান্ন। নীতি আয়োগ এবং কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের সাংসদ এবং মন্ত্রীরা। সেই প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেবও। পরবর্তীতে ‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রাম’-এর অধীনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আসার জন্য রাজ্যকে প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। শর্ত ছিল এই প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্র ৬০% টাকা দেবে, রাজ্য ৪০%। ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্পটিকে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রক। তারপর বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী অর্থাৎ দেব সংসদে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশ্ন করেন। সেখানেই জলশক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু বলেন, জুন মাসে ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্পটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য প্রকল্পটি ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে বরাদ্দ করেনি মোদী সরকার। ফলত এখনও অনিশ্চয়তায় ডুবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ভবিষ্যৎ। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।