কাটছে আশঙ্কা। ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন কিংবদন্তি পেলে। অনেকটাই সেরে গিয়েছে তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ। যদিও আরও কয়েক দিন সাও পাওলোর হাসপাতালে থাকতে হবে পেলেকে। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার শ্বাসকষ্টের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন বারের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। কিছু আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কোভিড মুক্ত হলেও তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়। সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে পেলের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘‘পেলের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। ফুসফুসের সংক্রমণ কমেছে। নতুন কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি।’’ তবে, তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে কবে, সে নিয়ে কিছু জানানো হয়নি এখনও।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। গত বছর সেপ্টেম্বরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর। গত শনিবার ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘ফোলহা ডে সাও পাওলো’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তা অনুযায়ী, পেলের শারীরিক পরিস্থিতি ছিল অতি সংকটজনক। সেই প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ তৈরি হয় ফুটবল বিশ্বে। কাতার বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারানোর পর পেলের আরোগ্য কামনা করে ব্যানার তুলে ধরেন নেমাররা। যদিও পেলের মেয়ে ফ্লাবিয়া নাসিমেন্টো জানান, সঠিক খবর প্রকাশিত হচ্ছে না। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অনেকে বলছেন বাবা মৃত্যুমুখে রয়েছেন। তাঁকে রাখা হয়েছে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ। যাঁরা এই খবর প্রচার করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না। আমাদের বিশ্বাস করুন। পরিস্থিতি একদমই তেমন নয়।’’ পেলের আর এক মেয়ে কেলি নাসিমেন্টো বলেছিলেন, ‘‘বাবা অসুস্থ। ওঁর বয়স হয়েছে। এখন শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা চলছে। একটু ভাল হলেই বাড়ি ফিরবেন। আপাতত কয়েক দিন বাবাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।’’ পেলে নিজেও ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীদের আশ্বস্ত করেন। ‘‘আমার বন্ধুরা, সকলকে শান্ত এবং ইতিবাচক রাখতে চাই। আমি শক্তিশালীই রয়েছি। যথেষ্ট আশাবাদী আমি। যথাযথ ভাবেই চিকিৎসা চলছে। আমার সব চিকিৎসক এবং নার্সদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওঁরা খুব যত্ন করছেন আমাকে’’, লিখেছিলেন তিনি।