আশা জাগিয়েও শেষ অবধি ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল কানাডা। সোমবার ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলা শুরুর ৬৮ সেকেন্ডেই গোল করে তারা। তবে শেষমেশ তাদের হারতে হল ১-৪ গোলে। প্রথম ম্যাচে মরক্কোর কাছে আটকে যাওয়ার পর এদিন জিতে অনেকটাই স্বস্তিতে ক্রোটরা। এদিন চটজলদি গোল করে কানাডাকে এগিয়ে দেন দলের সেরা ফুটবলার আলফোন্সো ডেভিস। আগের দিন তাঁর পেনাল্টি বাঁচিয়েছিলেন বেলজিয়ামের থিবো কুর্তোয়া। এ দিন আর ভুল করেননি ডেভিস। ক্রোয়েশিয়ার বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন বুকানন। লাফিয়ে উঠে ৬৮ সেকেন্ডে জালে বল জড়ান তিনি। তবে শুরুতে গোল খেয়েও আত্মবিশ্বাস হারায়নি ক্রোয়েশিয়া। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। ডেভিস মাঝে মাঝেই বল নিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সঙ্গী পাচ্ছিলেন না কাউকে। অন্য দিকে, ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছিল কানাডার রক্ষণ ভাগ। ২৬ মিনিটেই বল জালে জড়িয়ে দেয় ক্রোয়েশিয়া। গোল করেন ক্রামারিচ। কিন্তু আগেই লিভায়া অফসাইড থাকায় গোল বাতিল হয়ে যায়।
এর ১০ মিনিট পরেই গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান মদরিচরা। পেরিসিচের পাস থেকে গোল করেন ক্রামারিচ। বিরতির আগেই এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। জুরানোভিচের পাস পেয়ে যান লিভায়া। দুরন্ত শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুযোগ পেয়েছিল কানাডা। তবে ওসোরিয়োর প্রচেষ্টা পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। তবে ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ বজায় ছিল। লিভাকোভিচ এবং ক্রামারিচ পর পর দুটো সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। ৭০ মিনিটে তৃতীয় গোল করে ক্রোয়েশিয়া। এ বারও সেই ক্রামারিচ। এ বারও বাঁ দিক থেকে ক্রস রেখেছিলেন পেরিসিচ। নিখুঁত শটে নিজের দ্বিতীয় তথা দলের তৃতীয় গোল করেন ক্রামারিচ। ক্রোয়েশিয়ার চতুর্থ গোল আসে অতিরিক্ত সময়ে। কানাডার রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগে বল জালে জড়ান ওরসিচ। এই ম্যাচ জিতে গ্রুপ এফ তালিকার শীর্ষে রইল ক্রোয়েশিয়া। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবেন মদরিচরা। আর কানাডা খেলবে মরক্কোর বিরুদ্ধে।