ফের অঘটনের সাক্ষী রইল কাতার বিশ্বকাপ! মঙ্গলবার আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চমক দিয়েছে সৌদি আরব। আর আজ, বুধবার দোহার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল জাপান। স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলমহলে শুরু হয়েছে শোরগোল। জাপানের প্রশংসার পঞ্চমুখ ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। এদিন প্রথম ম্যাচেই জার্মানির রক্ষণ ভাগের দুর্বলতা প্রকাশ্যে আসে। সামনে জার্মানির মতো শক্তি থাকলেও গুটিয়ে থাকেননি জাপানের ফুটবলাররা। গোটা ম্যাচে সমানে সমানে লড়াই করলেন তাঁরা। শুরুটা আক্রমণাত্মক মেজাজেই করেন তাঁরা। বরং জার্মানিই কিছুটা ধীরে শুরু করে। হতে পারে প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষকে কিছুটা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ম্যানুয়েল ন্যুয়েররা। ম্যাচের ৫ মিনিটে প্রথম কর্ণার পায় জাপান। তার তিন মিনিট পরেই গোলের সুযোগ পেয়ে যায় এশিয়ার দেশটি। জাপানের মিয়েদা গোলও করেন। যদিও অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায় গোলটি।
এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ আসে জার্মানদের হাতে। মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেন কিমিচ জোসুয়া, থমাস মুলাররা। ক্রমশ জার্মান আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়তে থাকে জাপানের বক্সে। ৩৩ মিনিটে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জার্মানি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন গুন্দোগান। এই গোলের জন্য দায়ী জাপানের গোলরক্ষক সুইচি গোন্ডা। তিনিই বক্সের মধ্যে ফাউল করেন জার্মানির এক ফুটবলারকে। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েও গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি জার্মানি। গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল জাপানও। তারাও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে জার্মানি। প্রায় সারাক্ষণই বল ঘোরা ফেরা করেছে জাপানের অর্ধে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে গুন্ডয়ার একটি দুরন্ত শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবু দমে না গিয়ে এই অর্ধে বাজিমাত করল এশীয়রা। ৭৫ মিনিটে জাপানের হয়ে প্রথম গোল করেন রিটসু ডোয়ান। ফিরতি বলে গোল করেন তিনি। সমতা ফেরানোর পর আরও চাপ বাড়ায় জাপান। অন্য দিকে চাপে পড়ে যায় জার্মানি। মুলাররা গোল করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। বরং, কিছুটা খেলার গতির বিপরীতেই ৮৩ মিনিটে অনবদ্য গোলে জাপানকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তাকুমা আসানো। তাতেই জাপানের জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়।