প্রায় চার বছর পর ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। স্বভাবতই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে আলাদা মাত্রা পেয়েছে জঙ্গলমহলে। ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বেলপাহাড়ির সাহাড়ির মাঠে। সেখানে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বিরসা মুন্ডার প্রতিকৃতিতে। উদ্বোধন করবেন বিরসা মুন্ডার পূর্ণাবয়ব মূর্তি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে সাজ-সাজ রব ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে। একদিকে প্রশাসনিক বৈঠক, অন্যদিকে দলীয় স্তরের বৈঠক হয়েছে এদিন শনিবার সাহাড়ি মাঠে। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল, মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাতো, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার, বেলপাহাড়ির বিডিও বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিনপুর ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাহাল হাঁসদা-সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে একটি বৈঠক করেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কত সংখ্য়ক গুণীজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বা পরিষেবা কত মানুষ পাবেন – সেই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে আয়োজনে কোনো রকম কোনো ফাঁকফোকর না থাকে তা নিয়ে তৎপর প্রশাসন।
পাশাপাশি এদিন ঝাড়গাম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা নয়াগ্রাম বিধান সভার বিধায় দুলাল মুর্মু-সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতৃত্ব এদিন একটি বৈঠক করেন। জেলার কোন ব্লক থেকে কতজন মানুষজনকে নিয়ে আসা হবে, কত গাড়ি তার জন্য দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় দলীয় স্তরে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় কুড়ি হাজার মানুষজনের সমাগম হবে এই জনসভায়। এ বিষয়ে বেলপাহাড়ি পঞ্চাশেত সমিতির সভাপতি রাহালা হাঁসদা বলেন, ‘এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ওই দিনের কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়। কতজন গুণীকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বা পরিষেবা পাবেন কতজন, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া আরও একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে এই বৈঠকে’।