হাতে আর বেশিদিন নেই। চলতি মাসের শেষেই গুজরাতের বিধানসভা ভোট। আর মোদী-শাহের রাজ্যে ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে মোদী সরকার তথা বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশজোড়া মূল্যবৃদ্ধি। বিশেষত খাদ্যপণ্যের চড়া দাম। খুব শীঘ্র খাদ্যপণ্যের দাম কমার কোনও লক্ষণও দেখতে পাচ্ছেন না মোদী সরকারের শীর্ষকর্তারা। এদিকে সেই মূল্যবৃদ্ধিকেই হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। ফলে চাপের মুখে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেব, গুজরাত ভোটের আগেই খাদ্যপণ্যের দামে রাশ টানা দরকার।
কিন্তু কেন্দ্রীয় খাদ্য, উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, এমনিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তার উপরে খরিফ মরসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় পূর্ব ভারত ও উত্তর ভারতের একাংশে ফসল উৎপাদন কমবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। বাংলা, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে খরিফ মরসুমে ধানের চাষ কম হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে আবার অকাল বৃষ্টির ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশে বর্ষার পরেও বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগামী কয়েক মাস আনাজ, ডাল, ভোজ্য তেল, দুধের দাম বাড়বে। তাতে রাশ টানা কঠিন হবে।
অন্যদিকে, অক্টোবর মাসে পেঁয়াজ ও টোম্যাটোর দামও চড়া হারে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ দাবি করেছেন, অর্থ মন্ত্রক ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে সচেষ্ট। যদিও বিরোধীরা বলছেন, বাস্তব হল, সেপ্টেম্বর মাসে খুচরো পণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ৭.৪১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের দায়িত্ব হল, মূল্যবৃদ্ধির হারকে খুব বেশি হলে ৬ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখা। এই হার তার থেকে বেশি। তার থেকেও চিন্তার কারণ হল, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সেপ্টেম্বরে ৮.৬ শতাংশ ছুঁয়েছিল। যা ২২ মাসে সর্বোচ্চ। এর কারণ হল আনাজ ও খাদ্যশস্যের চড়া দাম।