রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা ডিসেম্বর নাগাদ উত্তর ভারতেও দীর্ঘপথ পাড়ি দেবে। কিন্তু ততদিনের অপেক্ষায় না থেকে তেলেঙ্গানায় ছুটলেন হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা মণীশ। আজ সকালে দক্ষিণের ওই রাজ্যে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মেলান এই প্রবীণ নেতা।
গত বছর দলে সাংগঠনিক নির্বাচন এবং সর্বক্ষণের সভাপতি চেয়ে যে ২৩ জন প্রবীণ নেতা তৎকালীন অন্তবর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন, মণীশ তাঁদের অন্যতম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদ মণীশ শুধু চিঠিতে স্বাক্ষর করেই থামেননি, পত্র-পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে এবং সংবাদমাধ্যমে হাজির হয়ে নাম না করে নিশানা করেন গান্ধী পরিবার, বিশেষভাবে রাহুল গান্ধীকে।
তবে সভাপতি নির্বাচনের ঘণ্টা বাজতেই বিরোধ ভুলে ঐক্যের বার্তা দেওয়া শুরু হয়। ফলে সভাপতি নির্বাচনে বিক্ষুব্ধ জি-২৩’র সমর্থনও মেলেনি খাড়্গের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী শশী তারুরের। ভোটের আগেই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সিংহভাগ নেতা গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়্গের পাশে থাকার কথা জানিয়ে দেন। হিমাচলপ্রদেশের আনন্দ শর্মা, হরিয়ানার মণীশ তিওয়ারি এই নেতাদের অন্যতম, যাঁদের বিরুদ্ধে শশী তারুর কার্যত পিছন থেকে ছুরি মারার অভিযোগ তুলেছেন।
মণীশের আজ রাহুলের পাশে হাঁটার ছবি কংগ্রেস মহলে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। কারণ, বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে মণীশ সরাসরি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন রাহুল একনায়কের মতো চলেন। প্রবীণদের পরামর্শ শোনেন না। সেই পর্বে গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি চেয়েও সওয়াল করেছিলেন। আজ সেই মণীশই ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিতে তেলেঙ্গানায় ছুটে গিয়েছেন।