ক্রমশ পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলার ছক কষছে মোদী সরকার? রাজনৈতিক মহলে শুরু তেমনই জল্পনা। এর আগে বারবার কংগ্রেসমুক্ত ভারতের কথা বলেছে বিজেপি। আর এবার পুরো দেশকেই বিরোধীশূন্য করার লক্ষ্যে আদা-জল খেয়ে লেগে পড়েছে তারা। পুনর্বিন্যাসের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। লক্ষ্য একটাই। দেশজুড়ে গৈরিকীকরণ! যে আসনে তাদের শক্তি কমেছে, সেই কেন্দ্রগুলিকে পুনর্বিন্যাসের অজুহাতে নিজেদের সুবিধা মতো গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পদ্মশিবির। পাশাপাশি যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি শক্তিশালী, সেখানে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নিলে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাজিক ফিগারের কাছাকাছি পৌঁছতে সুবিধা হবে না গেরুয়া শিবিরের। বিরোধীদের আশঙ্কা, ভোটে জেতার সুবিধামাফিক ডিলিমিটেশনের পথে হাঁটছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শুধু তাই নয়, নতুন ডিলিমিটেশনের পর রাজ্যের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে কেন্দ্র। নতুন একটি রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনেরও পরিকল্পনা চলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত ১৯৭৩ সালে ৫২২ থেকে বেড়ে লোকসভা আসন হয়েছিল ৫৪৩। ২০০২ সালে একটি ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন করা হয় সংবিধান সংশোধনী আইন এনে। ওই কমিশন আইনত লোকসভা আসনের সংখ্যা ফ্রিজ করে দিয়েছিল, এই মর্মে যে ২৫ বছরের জন্য লোকসভা আসনের সংখ্যা একই থাকবে। অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত লোকসভায় থাকবে ৫৪৩টি আসন। তবে ২০২৬-এর আগে যদি আবার ডিলিমিটেশন করতে হয় নতুন সেন্সাস বা জণগণনার পর দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে তাহলে আবার করতে হবে সংবিধান সংশোধন।
উল্লেখ্য, নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। এর লোকসভা ও রাজ্যসভা কক্ষে আসন সংখ্যা হবে অনেক বেশি। নতুন লোকসভায় ৮৮৮ জন এমপি বসতে পারবেন। অর্থাৎ, প্রাথমিকভাবে ৭৭২ আসনের পরিকল্পনা থাকলেও মোদী সরকারের লক্ষ্য ৮৮৮টি আসন। অর্থাৎ ৭৭২টি কেন্দ্রে হিসেব সামনে রাখলে এখনই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকছে অন্তত ২২৯টি আসন বাড়ানোর অধিকার ও পরিকাঠামো। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্যভাগের অন্যায্য বহু দাবিকে মদত দিতে চলেছে কেন্দ্র? এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে গোর্খাল্যান্ড-কামতাপুরের মতো পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সম্ভাবনা আরও জোরালো হতে পারে বলেই ধারণা রাজনীতির কারবারিদের। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। মোদী সরকার? – শুরু বিতর্কের ঝড়
ক্রমশ পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলার ছক কষছে মোদী সরকার? রাজনৈতিক মহলে শুরু তেমনই জল্পনা। এর আগে বারবার কংগ্রেসমুক্ত ভারতের কথা বলেছে বিজেপি। আর এবার পুরো দেশকেই বিরোধীশূন্য করার লক্ষ্যে আদা-জল খেয়ে লেগে পড়েছে তারা। পুনর্বিন্যাসের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। লক্ষ্য একটাই। দেশজুড়ে গৈরিকীকরণ! যে আসনে তাদের শক্তি কমেছে, সেই কেন্দ্রগুলিকে পুনর্বিন্যাসের অজুহাতে নিজেদের সুবিধা মতো গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পদ্মশিবির। পাশাপাশি যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি শক্তিশালী, সেখানে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নিলে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাজিক ফিগারের কাছাকাছি পৌঁছতে সুবিধা হবে না গেরুয়া শিবিরের। বিরোধীদের আশঙ্কা, ভোটে জেতার সুবিধামাফিক ডিলিমিটেশনের পথে হাঁটছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শুধু তাই নয়, নতুন ডিলিমিটেশনের পর রাজ্যের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে কেন্দ্র। নতুন একটি রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনেরও পরিকল্পনা চলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত ১৯৭৩ সালে ৫২২ থেকে বেড়ে লোকসভা আসন হয়েছিল ৫৪৩। ২০০২ সালে একটি ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন করা হয় সংবিধান সংশোধনী আইন এনে। ওই কমিশন আইনত লোকসভা আসনের সংখ্যা ফ্রিজ করে দিয়েছিল, এই মর্মে যে ২৫ বছরের জন্য লোকসভা আসনের সংখ্যা একই থাকবে। অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত লোকসভায় থাকবে ৫৪৩টি আসন। তবে ২০২৬-এর আগে যদি আবার ডিলিমিটেশন করতে হয় নতুন সেন্সাস বা জণগণনার পর দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে তাহলে আবার করতে হবে সংবিধান সংশোধন।
উল্লেখ্য, নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। এর লোকসভা ও রাজ্যসভা কক্ষে আসন সংখ্যা হবে অনেক বেশি। নতুন লোকসভায় ৮৮৮ জন এমপি বসতে পারবেন। অর্থাৎ, প্রাথমিকভাবে ৭৭২ আসনের পরিকল্পনা থাকলেও মোদী সরকারের লক্ষ্য ৮৮৮টি আসন। অর্থাৎ ৭৭২টি কেন্দ্রে হিসেব সামনে রাখলে এখনই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকছে অন্তত ২২৯টি আসন বাড়ানোর অধিকার ও পরিকাঠামো। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্যভাগের অন্যায্য বহু দাবিকে মদত দিতে চলেছে কেন্দ্র? এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে গোর্খাল্যান্ড-কামতাপুরের মতো পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সম্ভাবনা আরও জোরালো হতে পারে বলেই ধারণা রাজনীতির কারবারিদের। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।