খুশির আমেজ লাল-হলুদ শিবিরে। বৃহস্পতিবার আইএসএলে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে হারাল ইস্টবেঙ্গল। এ বারের আইএসএল মরসুমে এটিই লাল-হলুদ শিবিরের প্রথম জয়। গুয়াহাটির মাঠে ৩-১ গোলে জিতলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের ছাত্ররা। স্বাভাবিকভাবেই ডার্বির আগে এই জয় আত্মবিশ্বাস বাড়াবে খেলোয়াড়দের। এদিন ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। নর্থ ইস্ট ডিফেন্ডারদের ভুলকে কাজে লাগিয়ে নওরেম সিংহ বল নিয়ে পাস বাড়ান ক্লেটন সিলভাকে। ঠান্ডা মাথায় নর্থ ইস্টের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে পরাস্ত করেন তিনি। অরিন্দমের দিকের গোলপোস্ট ঘেঁষেই বল জালে জড়িয়ে দেন সিলভা। এরপর ক্রমাগত আক্রমণ করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। বলের দখল নিতে থাকে তারা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে যদিও আবার কিছুটা আক্রমণে ফেরে নর্থ ইস্ট। কিন্তু লাল-হলুদ গোলরক্ষক কমলজিতের হাত গোল করার সুযোগ দেয়নি তাদের।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমে লাল-হলুদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন কারিস কিরিয়াকু। ৫২ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। দূরপাল্লার নিখুঁত শটে তাঁর করা গোলে অভিভূত হন সমর্থকরা। ভিপি সুহের পাস বাড়িয়েছিলেন কিরিয়াকুকে। দৌড়ে এসে জোরালো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। এরপরই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের রাশ ধীরে ধীরে নিজেদের হাতে নিতে থাকে তারা। ৮৪ মিনিটের মাথায় নর্থ ইস্টের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন জর্ডন ও’ডোহার্টি। তিনি গোল করতে আরও চওড়া হয় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হাসি। ৯৩ মিনিটের মাথায় তাই ম্যাট ডার্বিশায়ার নর্থ ইস্টের হয়ে একটি গোল শোধ করলেও তখন ইস্টবেঙ্গলের জয় ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বর্তমানে লিগ টেবলে সাত নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। পরের ম্যাচ ২৯শে অক্টোবর। সে দিন যুবভারতীতে এটিকে মোহনবাগানের মুখোমুখি হবে তারা। সেই ম্যাচ নিয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনা।
