শেষ দু-বছর অতিমারি পরিস্থিতিতে আয়োজন করা যায়নি দূর্গাপুজার সবথেকে বড় কার্নিভাল। তবে এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই কার্নিভালের প্রস্তুতি জোরকদমে চলেছে। কার্নিভাল শুরুর আগেই সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে আসতেও শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন ট্যাবলো। গোটা কলকাতার সমস্ত বড় পুজোকে এক মঞ্চ থেকে দেখতে মানুষের ভিড়ও এবছর রেকর্ড করতে চলেছে বলে দাবি সরকারি সূত্রে।
একটি কমিটির তরফে সর্বাধিক তিনটি ট্যাবলো প্রদর্শন করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। একটি কমিটি সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা প্রদর্শন করার জন্য পাবে সর্বাধিক তিন মিনিট সময়। ঢাকি-সহ প্রত্যেকটি পুজো কমিটির উপস্থাপনার সময় মোট ৫০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন।
সকাল ১১:৩০ এর মধ্যে রেড রোড সংলগ্ন অংশে (যেখানে পুলিশের তরফে ব্যবস্থা করা হবে) ট্যাবলো নিয়ে রিপোর্ট করতে হবে পুজো কমিটিগুলোকে। কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী পুজো কমিটিগুলির প্রতিমার উচ্চতা ১৫ ফুট এর বেশি হওয়া যাবে না। যে যে পুজো কমিটিগুলোর ক্ষেত্রে বড় প্রতিমা আনতে সমস্যা হবে, তারা প্রতিমার (মূলত ফাইবার প্রতিমার ক্ষেত্রে) সাজ খুলে এনে রেড রোড সংলগ্ন এলাকায় ট্যাবলোকে প্রস্তুত করা যাবে।
পুজো কমিটিগুলোর পাশাপশি বিপুল জনসমাগম হতে চলেছে আজ। তাই রেড রোড সংলগ্ন অঞ্চলে নিরাপত্তাও যথেষ্ট আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। প্রায় দু হাজার পুলিশ কর্মী সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সামলাবেন। গোটা ময়দান অঞ্চলকে মোট ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার।
কার্নিভাল যেখানে চলবে অর্থাৎ রেড রোডের অংশের দায়িত্বে থাকবেন ডিসি সেন্ট্রাল এবং ডিসি সাইবার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হবে রেড রোড সংলগ্ন বেশ কিছু রাস্তায়। এ ছাড়া ৮টি ওয়াচ টাওয়ার, ১০টি সহায়তা কেন্দ্র এবং ৫টি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।