বিজয়া দশমীর দিন মাল নদীতে ঝাঁপিয়ে দশ জনের প্রাণ বাঁচিয়ে রাতারাতি সকলের চোখে হিরো হয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তবে এই মুহুর্তে নিজের প্রশংসা শুনতে ভাল লাগছে না মালবাজারের তেসিমলা গ্রামের মহম্মদ মানিকের। তাঁর আফসোস, হড়পা বানে ভেসে যাওয়া সবাইকে বাঁচাতে পারেননি। মানিক বলেন, ‘চোখের সামনে মানুষ গুলোকে ভেসে যেতে দেখলাম। যাদের পেরেছি পাড়ে তুলেছি। যাদের পারিনি তাদের হারানোর যন্ত্রণা ভুলতে পারছি না।’
প্রসঙ্গত, দশমীর রাতে মাল নদীতে প্রতিমা ভাসান দেখতে গিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। এসেছিলেন তেসিমলা গ্রামের মহম্মদ মানিকও। আচমকা আসে হড়পা বান। ভেসে যান ভাসান দেখতে যাওয়া বহু মানুষ। এ হেন পরিস্থিতি দেখে মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে পারেননি মানিক। নদীর পারে একটি উঁচু জায়গায় বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। নিজের ফোনটি বন্ধুর হাতে ধরিয়ে সেখান থেকেই সটান ঝাঁপ দেন নদীতে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, প্রায় পনেরো ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আটজনকে উদ্ধার করে পারে নিয়ে আসেন মানিক। ঘটনায় নিজেও আহত হন। মাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলে। বৃহস্পতিবার মানিকের এই সাহসিকতার গল্প ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি দিয়ে প্রশংসাও করেন অনেকেই। স্থানীয়রা জানান, মানুষের বিপদ দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন মানিক। গ্রামে রক্তদান শিবির হলেও এক ডাকেই মানিককে পাওয়া যায়।