গত ১ সেপ্টেম্বরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন এবার ইউনেস্কোর বাংলা দুর্গা পুজোকে বিশেষ স্বীকৃতির সম্মান জানিয়ে জেলায় জেলায় করা হবে পুজোর বিশেষ কার্নিভাল। সেই মতো শুক্রবার জেলায় জেলায় পুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র মাল নদীতে দুর্ঘটনার জেরে বাতিল করা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার পুজো কার্নিভাল।
এই প্রথম প্রতিটি জেলায় পুজোকে নিয়ে বিশেষ কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। প্রতিটি জেলায় একইসঙ্গে হবে এই কার্নিভাল অনুষ্ঠান। এই কার্নিভাল অনুষ্ঠানকে কী ভাবে পরিচালিত করা হবে তার জন্য ২৫ দফার গাইডলাইন দিল নবান্ন। মূলত এই কার্নিভালকে কী ভাবে পরিচালনা করা হবে, কতজন উপস্থিত থাকবে তা নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইনে দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, গাইডলাইনে বলা হয়েছে ১) পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলে কোন মহকুমা শহরে এই শোভাযাত্রা বা কার্নিভালের আয়োজন করতে হবে। ২) যারা এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক সেই কমিটিগুলিকে চিহ্নিত করে এবং প্রয়োজনে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানের জন্য গঠিত জেলার বিচারক মন্ডলীর মতামত গ্রহণ করে সেই পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে কার্নিভালে অংশগ্রহণ করানো যেতে পারে। ৩) যে সমস্ত পুজো কমিটি গুলি এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবেন তারা প্রতিমা বহনের পাশাপাশি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করতে পারে। ৪) সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি পুজো কমিটির মূল মঞ্চের সামনে দুই মিনিটের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে পারবে। ৫) এই কার্নিভালের জন্য জেলাগুলির বিভিন্ন এলাকা যথাযথ ব্র্যান্ডিং দিয়ে সুসজ্জিত করতে হবে এবং মূল মঞ্চের ব্র্যান্ডিং সকল যেটা যাতে একই ধরনের হয় তার জন্য নবান্নের তরফে একটি নকশাও দেওয়া হবে।
৬) রাস্তা দু’ধারে যাতে সাধারণ মানুষ দাঁড়াতে পারেন বা বসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭) পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে জেলাগুলির বিভিন্ন প্রান্তে এই কার্নিভালটি ভালো ভাবে দেখতে পান তার জন্য এলইডির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যে পুজো কমিটিগুলি এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে তাদের কোন কোন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করবে তা আগে স্থির করে নিতে হবে। ৯) কার্নিভালকে কেন্দ্র করে যাতে যানজট না হয় অঞ্চলে, সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় তার বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।