নিরঞ্জনের পরে ক্রেনে করে প্রতিমা তুলে ফেলার সময় যে দৃশ্য দূষণ হয়, তা বন্ধ করতে এবার উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা। কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন, গঙ্গা থেকে দ্রুত প্রতিমার কাঠামো তোলার জন্য আগামী বছর থেকে ব্যবস্থা করা হবে আরও বেশি সংখ্যক ভাসান কুলির।
ফিরহাদ বলেন, ‘আগামী বছর থেকে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বেশি করে ভাসান কুলি নেওয়া হবে। তাঁরাই প্রতিমার কাঠামো দ্রুত জল থেকে তুলে নেবেন। তাঁরা সেটিকে পাড়ে তুলে দেবেন। সেখান থেকে পুরসভার কর্মীরা প্রতিমার কাঠামো তুলে নেবে।’
মন্ত্রীর কথায়, ‘যে কাঠামোকে পুজো করা হল, সেই কাঠামোকে যে ভাবে তুলে ফেলা হয় তা অনেকের আবেগেও দুঃখ দেয়। এছাড়া ক্রেনে করে তুলতে যে সময়টা লাগে, তার অনেক আগেই ভাসান কুলিরা এই প্রতিমা তুলে নিতে পারবেন। তাই গঙ্গার জলের দূষণ ও দৃশ্য দূষণ রুখতে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ ফিরহাদের এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত।
প্রসঙ্গত, কলকাতায় গঙ্গার সবক’টি ঘাটের মধ্যে বেশি বিসর্জন হয় জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই তিনটি ঘাটে মোট চারটি ক্রেন থাকবে। বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গার জলে ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকবে এবং পাড়েও একটি ক্রেন থাকবে। নিমতলা এবং জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে।
জানা গিয়েছে, জলে প্রতিমা পড়লেই সেই ক্রেন দিয়ে কাঠামো টেনে তোলা হবে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন মেনে ফুল, মালা এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী গঙ্গার তীরেই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হবে। এ জন্য কলকাতা পুরসভার পর্যাপ্ত কর্মী, পর্যাপ্ত পুলিশ এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রাখা হবে গঙ্গার ঘাটগুলিতে।