সময়টা যেন বিশেষ ভাল যাচ্ছে না কাঁথির অধিকারী পরিবারের। একদিকে যখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি থেকে সোশ্যাল মিডিয়া। অন্যদিকে তখন একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। পুরসভা থেকে পথবাতি, স্টল নির্মাণ থেকে কলেজ বিল্ডিং নির্মাণ— একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে শান্তিকুঞ্জের ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীর নামে! এরই মধ্যে এবার কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং নির্মাণের দুর্নীতির মামলায় এবার তদন্তের ভার গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসকের হেফাজতে। কাঁথি থানার পুলিশের হাত থেকে মামলাটি উচ্চপর্যায়ে তদন্তের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজির কাছে তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক তীর্থঙ্কর ঘোষ। যার জেরে দুর্নীতি কাণ্ডে শুভেন্দুর ভাইয়ের গ্রেফতারির সম্ভবনা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে কাঁথির স্থানীয় রাজনীতিতে৷
জানা গিয়েছে, কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং নির্মাণের দুর্নীতির মামলায় ৪ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ৷ বস্তুত, ওই দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে শুভেন্দুর ভাই তথা কাঁথি পুরসভার দু’বারের পুরপ্রধান সৌমেন্দুর। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাঁথি কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে শুভেন্দুর আরেক ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও দক্ষিণ কাঁথি বিজেপি প্রতীকে জেতা বিধায়ক অরূপ কুমার দাসেরও নাম রয়েছে৷ তদন্তে নেমে কলেজের বিল্ডিং দুর্নীতির মামলায় তদন্তের শুরু করে কাঁথি থানার পুলিশ। আগেই কাঁথি থানার তদন্তকারীরা কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে কে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে একাধিক নথিও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা৷