প্রশাসনিক দক্ষতায় সাগরমেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এভাবেই পৌষ সংক্রান্তির পুণ্য স্নানকে ঘিরে আয়োজনের উদ্যোগে যোগীর কুম্ভমেলাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে মমতার সাগরমেলা। প্রশাসনিক কর্মসূচি নিয়ে বুধবারই সাগরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ইলাহাবাদের কুম্ভ মেলার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘সাগরমেলার পুণ্যার্থীদের জলপথে আসতে হয়। কুম্ভয় সড়কপথে যোগাযোগ আছে। আমরা তো তাই বলি কুম্ভ থেকে কোনও অংশে আমরা পিছিয়ে নেই’।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেন্দ্রনাথ খাঁড়ার কথায়, ‘এত মানুষের প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা করা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমরা সরকারি দফতরগুলির সঙ্গে সহযোগিতায় থাকি।’ তাঁদের দাবি, গত বছরের মেলায় ২২ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। এ বার তা ২৫ লক্ষ ছাপিয়ে যাবে। গঙ্গাসাগরের এই জমায়েতের সম্ভাবনায় দল ও সরকারের প্রচারের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে শাসক শিবির। কচুবেড়িয়া থেকে দীর্ঘ রাস্তা সেজেছে তৃণমূলের পতাকায়। মেলা মাঠের চারদিকে লাগানো হয়েছে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, গতিধারার মতো প্রকল্পটিগুলির বিবরণ-সহ অসংখ্য ফ্লেক্স।
লোকসভা ভোটের বছরে কুম্ভ মেলার পুণ্যার্থীদের জন্য এ বার বাড়তি আয়োজন করছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এখানে সাগর মেলার জন্য কোনও খামতি রাখেন নি মমতাও। এই কাজে এখন সর্বশক্তি নিয়ে পড়ে আছে রাজ্য সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ দফতরই। তৃণমূল পরিচালিত সাগর পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদও সাধ্যমতো পরিষেবার কাজের অংশীদার। সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা মনে করেন, ‘সাগরের সঙ্গে কুম্ভ মেলার তুলনা করা যেতেই পারে।’ সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসেছেন মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে। দুপুরে সাগরে পৌঁছে বিকেলে কপিলমুনির আশ্রমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর ডালা দিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা কাটান সেখানে। দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন আশ্রমের প্রধান মহন্ত জ্ঞানদাসের সঙ্গে। মহন্তও কুম্ভ নিয়ে প্রচারের বাড়াবাড়ির কথা বলে এই প্রতিযোগিতাই উস্কে দিয়েছেন আরও।