প্রধানমন্ত্রীর অসৌজন্যে ক্ষুব্ধ আসামের মানুষ। দেশের বৃহত্তম রেল-সড়ক সেতু বগিবিলের উদ্বোধনে এসে নরেন্দ্র মোদী বগিবিলের পুরো কৃতিত্বই নিজের ঝুলিতে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।দাবি করেন, বিজেপির সুশাসনের সুফল বগিবিল সেতু। এমন মন্তব্যেই ক্ষুব্ধ আসামের সাধারণ মানুষ।
আসামের মানুষ বগিবিল সেতুর ইতিহাসের সঙ্গে বিলক্ষণ পরিচিত। তাঁরা জানেন, ব্রহ্মপুত্রের ওপর সেতুটি নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন পায় প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়। পরে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ঘটা করে শিলান্যাস করেছিলেন সেতুটির। কিন্তু মনমোহন সিংয়ের জমানাতেই গতি আসে কাজে। ২০০৭ সালে বোগিবিল সেতুকে জাতীয় প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। মোদী তাঁর ভাষণে একবারও দেবগৌড়ার নাম নেননি। মনমোহনের কথা তো উল্লেখের প্রশ্নই নেই।
প্রসঙ্গত, বাজপেয়ী জমানায় সেতুটির শিলান্যাসের সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রেলমন্ত্রী হিসেবে মমতা ব্যানার্জি বা তৃণমূলের অপর দুই রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী ও মুকুল রায়ও এই সেতু–নির্মাণে অর্থ–বরাদ্দে বিশেষ গুরুত্ব দেন। কিন্তু কারও নাম উল্লেখ না করে নিজের সরকারেরই গুণগান করে যান মোদী। এতেই আসামের সাধারন মানুষের সঙ্গে ক্ষিপ্ত আসামের সংবাদমাধ্যমও। তারা যোগাযোগ করেণ দেবগৌড়ার সঙ্গে। তিনি হতাশার সুরে বলেন, ‘কে-ই বা আমার নাম মনে রাখে! প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন চেষ্টা করেছি। এইটুকুই বলতে পারি’। আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ একটি টুইটবার্তায় লেখেন, ‘মোদীর কোনও অবদানই নেই এই সেতুতে। পুরোটাই বিজেপির মিথ্যাচার’। কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলা হয়, ‘দুনিয়ার সেরা অভিনেতার নাম নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতো প্রতারক দুটি নেই দুনিয়ায়।’ বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া দাবি করেন, ‘কংগ্রেসের আমলের সুফল নিয়ে বিজেপি জুমলা করছে অসমেও’।