প্রকাশ্যে মোদীর সাধের ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যের বেহাল পরিস্থিতি। মাত্র চার বছরে তফাত। তাতেই কার্যত দফারফা অবস্থা বাঁধের। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের আমলে মধ্যপ্রদেশে করম বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণের মাত্র চার বছরের মধ্যেই বাঁধের দশা করুণ। বর্ষা আসতেই ফাটল ধরল বাঁধে। নির্মাণের বরাত দেওয়া নিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন বিরোধীরা। স্বাভাবিকভাবেই চাপে পদ্মশিবির। ওই বাঁধ নির্মাণের ই-টেন্ডারিংয়ের সময় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। ২০১৮ সালে জিতে এসে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ করম বাঁধসহ বিভিন্ন সরকারি নির্মাণের বরাতে বেনিয়মের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছিল, প্রাথমিক তদন্তে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু বিজেপির চক্রান্তে কমলনাথ সরকারের পতনের পরেই, তদন্তের বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায় বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা।
এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের অভিযোগ, শিবরাজ সিংহ চৌহানের জমানায় সরকারি বরাতের ই-টেন্ডারে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির পরিমাণ, প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। অভিযোগ উঠেছে, ই-টেন্ডারের লগ ইন প্রক্রিয়া দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা অসমো আইটি সলিউশলন নামক বেসরকারি সংস্থার কর্তাদের সাহায্যেই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছে। বেআইনিভাবে করা হয়েছে বরাত বণ্টন। কয়েক বছর আগে করমসহ কয়েকটি বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত বরাত দেওয়ায় বেনিয়মের অভিযোগে, বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের দুই সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শিবরাজের আমলে প্রথমে গুজরাতের এক নির্মাণ সংস্থাকে করম বাঁধ নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগে সেই বরাত ২০১৮ সালে দিল্লির একটি সংস্থার হাতে চলে যায়। তারা আবার অন্য এক সংস্থাকে বাঁধের একাংশ নির্মাণের কাজে নিয়োগ করেছিল, চলতি বছর গত ১১ই আগস্ট বাঁধের সেই জায়গাতেই ফাটল ধরেছে। যা ঘিরেই বইছে বিতর্কের ঝড়।