আরো একবার প্রকাশ্যে এল মোদী সরকারের অকর্মণ্যতার দৃষ্টান্ত। বিগত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা চালু করেছিল কেন্দ্র। স্কিমটি ছিল অসংগঠিত ক্ষেত্রের ৪৬ কোটি শ্রমিককে পেনশনের আওতায় আনতেই। কতটা সফল হয়েছে এই প্রকল্প? একটুও না। এমনই জানাচ্ছে পরিসংখ্যান। শুরু হবার চারবছর পরেও এখানে এই পেনশন প্রকল্পে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ৬৩ হাজারেরও কম। পাশাপাশি বাংলায় প্রকল্পটি ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপারটা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে লজ্জার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার বিজেপি সরকার অন্য দফতরের কর্মীদের মাঠে নামিয়েছে স্বাধীনতার ‘অমৃত মহোৎসব’-এর দোহাই দিয়ে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও অফিসারদের দিয়ে এই যোজনার প্রচার ও নাম নথিভুক্তিকরণ শুরু হয়েছে দুই মেদিনীপুর ও দুই বর্ধমানে। অন্য দফতরের কর্মীদের ব্যবহার করা নিয়ে ক্ষোভ শুরু হয়েছে সরকারি মহলে।
উল্লেখ্য, সারা দেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৮ লক্ষ্য ২০ হাজার মানুষ এই পেনশন যোজনার অন্তর্ভুক্ত। হরিয়ানায় অন্তর্ভুক্তির সংখ্যাটি হল প্রায় ৮.২৩ লক্ষ, উত্তরপ্রদেশে ৬.৬০ লক্ষ, মহারাষ্ট্রে ৬ লক্ষ, গুজরাতে ৩.৮১ লক্ষ। সেখানে বাংলায় সংখ্যাটি মাত্র ৬৩ হাজার। শ্রমমন্ত্রকের মাধ্যমে স্কিমটি আসলেও এটির দেখভাল করে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা। ১৮-৪০ বছর বয়সিরা যোগ দিতে পারেন। বয়স অনুযায়ী, মাসে ৫৫-২০০ টাকা প্রিমিয়াম দেন গ্রাহক। ৬০ বছর বয়সে মান্থলি পেনশন মেলে ৩০০০ টাকা। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে প্রথম পেনশন মিলবে ২০৩৯-এ। এটি সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছায় কেনার স্কিম। সংশ্লিষ্ট কর্মীরা আপত্তি তুলেছেন কেন সেটিই চালু করতে ইপিএফও এবং ইএসআইকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র? উঠছে প্রশ্ন। কর্মীদের বক্তব্য, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবকে সামনে রেখে দেশের ৭৫টি জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের উপর কাজটি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলার জেলা চারটি। বাংলায় এই স্কিমের কোনও সাফল্য নেই। ফলত কর্মীদের অনুমানর আগামী দিনে দায়িত্ব চাপতে পারে রাজ্যের সব জেলার উপর।