‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল।’ জানানো হল, সেই তৃণমূল হবে, ‘ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ বড় বড় হোর্ডিংয়ের এই লেখা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে।
তৃণমূল সরকারের তৃতীয় মেয়াদে অভিষেক যে এক নতুন ঘরানার রাজনীতি শুরু করতে চাইছেন, তা একুশের ফলপ্রকাশের পর থেকেই পরিষ্কার। দলে এক ব্যক্তি, এক পদ কায়েম করার চেষ্টা করেছিলেন অভিষেক। তাতে প্রথমে বাধা পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বাস্তবায়িত করেই ছেড়েছেন। দলের এক শ্রেণির নেতার মৌরুসিপাট্টাও খতম করে দিয়েছেন তিনি। বহু জেলার এক সময়ের জেলা সভাপতিরা এখন আলঙ্কারিক মুরুব্বিমাত্র।
অভিষেক এখানেই থেমে থাকেননি। দুর্নীতির প্রশ্নে কঠোর অবস্থান নেওয়ারও চেষ্টা করেছেন। সেইজন্য জানিয়ে দিয়েছেন, কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেই লড়াই তাঁকে নিজেকেই লড়ে নিতে হবে। দল তাঁর হয়ে লড়াই লড়বে না। অর্থাৎ একটা পরিচ্ছন্ন ঘরানার রাজনীতি কায়েম করতে চাইছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সেইসঙ্গে তাঁর নিজের নির্বাচন কেন্দ্রে একটা পেশাদার প্রশাসনিক মডেলও একপ্রকার খাড়া করেছেন তিনি।
সার্বিক এই প্রেক্ষাপটে গত ২৮ জুলাই সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রশ্ন করা হয়েছিল, এটা কি নতুন তৃণমূল? জবাবে অভিষেক বলেছিলেন, সেটা মানুষই বলবে।