ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে অনিশ্চয়তার মেঘ। কাটছে না সংশয়। চিন্তায় গ্রাহকরা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের সাড়ে চার মাস ইতিমধ্যেই কেটে গেলেও কয়েক কোটি গ্রাহকের পিএফ অ্যাকাউন্টে মেলেনি সুদ। কবে এই বকেয়া সুদ পাওয়া যাবে, তাই নিয়েও কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য সুদের হার ঘোষণা করে । কিন্তু এখনও কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি সেই সুদ। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই অ্যাকাউন্টে বকেয়া সুদ চলে আসবে, এমনই ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু সেই আশা পূরণ করেনি কেন্দ্র। একদা প্রত্যেক অর্থবর্ষের গোড়াতেই তার আগের অর্থবর্ষের প্রাপ্য পিএফের সুদ মিটিয়ে দেওয়ার। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর সেই নিয়মে ইতি পড়ে। গত এপ্রিল মাসে যে সুদ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। অথচ কেন্দ্র তা দিতে নানান টালবাহানা শুরু করে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সুদ দিতে গত বছর ডিসেম্বর পার করে দেয় মোদী সরকার। বলা হয়েছিল, সুদ দু’টি কিস্তিতে মেটানো হবে। কিন্তু নিজেদের দেওয়া কথা নিজেরাই রাখেনি কেন্দ্র। প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ালির পর মিলবে, এমনটাই বলা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। সেই সুদ অ্যাকাউন্টে পৌঁছয় জানুয়ারি মাসে। সেবার তাদের যুক্তি ছিল, অর্থমন্ত্রক ছাড়পত্র দেয়নি। তাই সুদ মেটাতে দেরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রক ইপিএফও’র অছি পরিষদের ঘোষণা করা সুদের অনুমোদন দেয়। এবার জুন মাসের শেষে অর্থমন্ত্রকের সেই অনুমোদন মিললেও অ্যাকাউন্টে সুদ মেলেনি। গত অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্র ৮.১ শতাংশ হারে সুদ ঘোষণা করে। ১৯৭৭-৭৮ অর্থবর্ষের পর থেকে বেসরকারি সংস্থায় চাকুরি করা কোটি কোটি কর্মচারী কখনও এত কম সুদ পাননি। এক বছরের তফাতে ০.৪০ শতাংশ সুদ কমানোয় রীতিমতো হতাশ ছিলেন সকলেই। কিন্তু কোনওভাবেই যে সুদের হারের পুনর্বিবেচনা করা হবে না, সংসদে লিখিতভাবে অর্থমন্ত্রক তা জানিয়ে দেয় তারা। কিন্তু সুদ কবে মিলবে, তা নিয়ে এখনও নিরুত্তর মোদী সরকার। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
