বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে লালুপ্রসাদের আরজেডির হাত ধরতেই এবার আমূল বদলে গেল নীতিশ কুমারের নতুন মন্ত্রিসভায় জাতের সমীকরণ। মহাগঠবন্ধন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী পদে জেডিইউ নেতা নীতিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব শপথ নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হল। রাজ্যপাল ফাগু চৌহান নতুন মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব আগেই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। আজ নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন লালু-রাবড়ির বড় ছেলে তেজপ্রতাপ। তিনি নীতিশের সঙ্গে আরজেডির আগের জোট সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিহারের রাজনীতিতে জাত সমীকরণই শেষ কথা। এবার দেখা গেল নীতিশের নয়া মন্ত্রিসভা হল জাত প্রতিনিধিত্বের অঙ্ক মেনে। হামেশাই দেখা যায়, দলিত, ওবিসি ভোটে ভাগ বসাতে বিজেপি প্রচার করে থাকে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় এই সব প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিত্ব যত আছে, স্বাধীনতার পর কোনও সরকারের সময়ে তা ছিল না। মন্ত্রিসভার খোলনলচে বদলে দিয়ে বিহারে বিজেপির এই প্রচারে জল ঢেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন নীতিশ। স্বভাবতই আজ শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিত্ব আগের মন্ত্রিসভার অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিহারের বিজেপি-জেডিইউ জোট সরকারে উচ্চবর্ণের মন্ত্রী ছিলেন ১১ জন। তাদের ১০জনই ছিলেন বিজেপির। এখন তা কমে হল ছয়। অন্যদিকে, মুসলিম মন্ত্রী ছিলেন মাত্র দু’জন। আজ শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে সংখ্যালঘু মুখ পাঁচজন। সকলেই মুসলিম। দলিত মন্ত্রীও রয়েছেন মোট পাঁচজন। জাতের সমীকরণে সবচেয়ে বেশি, মোট ১৭জনকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়েছে ওবিসি (অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি) ইবিসি (অতি অনুন্নত শ্রেণি) সম্প্রদায় থেকে। এই অংশের মানুষের মধ্যে লালুপ্রসাদের পাশাপাশি নীতীশ কুমারেরও সমর্থক আছে। তবে একক জাতি হিসাবে মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী যাদব।