নীতীশ কুমার বরাবরই দাবি করে আসছেন যে জেডিইউ ভাঙার চেষ্টা করায় বিজেপির হাত ছেড়েছেন তিনি। তবে বিহারের রাজনৈতিক ঝড়ের আবহে জাতীয় রাজনীতিতেও কৌতুহল জেগেছে। জাতীয় ক্ষেত্রে প্রশ্ন করা হচ্ছে, নীতীশ কি ২০২ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যেই শিবির বদলেছেন?
এই জল্পনার নেপথ্যে অন্যতম কারণ তাঁরই দলের বহু নেতার বক্তব্য। জেডিইউর বহু নেতাই নীতীশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইস্যুতে বলেন, ‘কেন নয়?’ এরপরই নীতীশকে নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁর এককালীন সখ্যতাও এই জল্পনায় ইন্ধন জুগিয়েছে। যদিও প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছেন যে বিহারের রাজনীতির এই পটভূমিকা পরিবর্তের কোনও প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে পড়বে না।
এই আবহে নীতীশ আজ বললেন, ‘আমি হাত জোড় করে বলছি, আমার মনে সেরকম (প্রধানমন্ত্রী হওয়ার) কোনও চিন্তা নেই… সবার জন্য কাজ করাই আমার কর্তব্য। আমি চেষ্টা করব যেন সব বিরোধী দল একসঙ্গে কাজ করে। তারা যদি একসঙ্গে কাজ করে, তাহলে ভালো হবে…’ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। আমি ইতিবাচক কাজ করছি। অনেক ফোন আসছে, আমি (যথাসাধ্য) সবই করছি। আমি সবকিছু করব, তবে প্রথমে আমি এখানে আমার কাজ করব।’