মানুষের জন্যে রাজনীতি করার থেকে বিজেপির নেতারা গো–রাজনীতিতেই অধিক মন দিয়ে থাকেন। তাঁরা যা মনে করেন আমজনতাকেও সেটাই মনে করতে হবে, এমনটাই ভেবে থাকেন তাঁরা। তবে বিজেপি যে দেশে রীতিমত স্বৈরতন্ত্র জারি করে মানুষের বাক-স্বাধীনতাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে তা প্রমাণিত হল উত্তরপ্রদেশে ঘটা এক অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনায়। বিজেপির বিরুদ্ধতা করায় মারধোর করা হল এক ব্যক্তিকে।
উত্তরপ্রদেশের সম্বলে এসডিএম অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি যিনি শারীরিক ভাবে বিশেষ সক্ষম। তখন তিনি সমাজবাদী পার্টি এবং অখিলেশ যাদবের নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন যা শুনে অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি নেতা মহম্মদ মিঞা। অভিযোগ তারপরেই ওই ব্যক্তিকে অমানবিক ভাবে মারতে শুরু করেন তিনি, এমনকি তাঁর মুখে লাঠি পর্যন্ত ঢুকিয়ে দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই ঘটনার ভিডিও করেন আপলোড করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে, এক মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
এই কুৎসিত ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই নিন্দার ঝড় বয়ে যায় চারদিকে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি মানুষের বাক- স্বাধীনতার ওপরেও হস্তক্ষেপ করবে বিজেপি? তাঁদের বিরোধিতা করলেই কি এভাবে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকবে? এমনিতেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে যে ভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি, সেই চোট এখনও যায়নি, প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে না পারার ফলে সাধারণ মানুষ বেজায় বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে তাঁদের ওপর, আমজনতা আর চাইছেন না তাঁদের। এবার এভাবে বিজেপি বিরোধিতার ফলে মানুষকে যদি মারধোর করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় কথা বলার স্বাধীনতাও, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগান অনুযায়ী, ‘২০১৯, বিজেপি ফিনিশ’ হওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।