ফের সমালোচনার মুখে মোদী সরকার। ট্রেন এবং রেলস্টেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে পূর্ব রেলকে প্রবল নিন্দায় বিদ্ধ করল ক্যাগ। পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি শিয়ালদহ এবং মালদহ ডিভিশন। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ক্যাগ রিপোর্টে। ডিরেক্টরেট তৈরি না হওয়া নিয়েই চরম অসন্তুষ্ট ক্যাগ। পূর্ব রেল ছাড়াও আরও নয়টি ডিভিশনের কাজে অবহেলার কথা ক্যাগ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বিগত ২০০৯ সালে লোকসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি প্রথম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করে। রেল বোর্ড ২০১৫ সালে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হাউসকিপিং ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টরেট তৈরির কথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়। জেনারেল ম্যানেজার এবং চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের আওতায় জোনের ডিরেক্টরেট তৈরি কথা বলা হয়েছিল। সে বছরই সমস্ত জোন এবং ডিভিশনের কাছে ডিরেক্টরেট তৈরির বিষয়ে নির্দেশ পৌঁছয়। কিন্তু পূর্ব রেলের শিয়ালদহ এবং মালদহ ডিভিশন তা নিয়ে কোন হেলদোল করেনি। ৮ই আগস্ট সংসদে পেশ করা রিপোর্টে ক্যাগ জানিয়েছে, পরিচ্ছন্নতা রক্ষা নিয়ে কোনরকম নজরদারি চালানোর নির্দেশই দেয়নি শিয়ালদহ এবং মালদহ ডিভিশন।
পাশাপাশি, ক্যাগ জানিয়েছে, তাদের রিভিউ চলাকালীন সময় পর্যন্ত; রেলের ৫৪টি শাখার ১১টিতে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হাউসকিপিং ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টরেট তৈরিই হয়নি। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ এবং মালদহ ছাড়াও মধ্য রেলের পুনে ও সোলাপুর, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং, রঙ্গিয়া ও কাটিহার এবং উত্তর রেলের আম্বালা, দিল্লি, লখনউ ও মোরাদাবাদে ডিরেক্টরেট তৈরি হয়নি। রেলের ১৩টি শাখায় এখনও পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত নজরদারি চালানোর কোন নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। উত্তর-মধ্য রেলের প্রয়াগরাজ এবং আগ্রা ডিভিশনে নিয়মিত নজরদারির কোন নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়গুলির তত্ত্বাবধানে জন্যে রেলের কোন সংস্থাই নেই। ক্যাগ জানিয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসে কাজ গাফিলতির সাফাই দিয়েছে রেলমন্ত্রক। জবাবে তারা জানিয়েছে, ডিরেক্টরেট যেখানে তৈরি হয়নি, সেখানকার মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টকে তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও এই জবাবকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে না ক্যাগ। ডিরেক্টরেটের কাজ মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের পক্ষে করা সম্ভব নয়, সাফ জানিয়েছে ক্যাগ।