৫ বছর আগে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার রায় দিতে গিয়ে গত শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, ১৯ জন নেতামন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে অন্তর্ভুক্ত (পার্টি) করতে হবে। এ নিয়ে বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতেই এবার সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় বিরোধীদের পালটা আক্রমণের পথে হাঁটল রাজ্যের শাসক দল। বুধবার বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক-সহ ৬ জন মন্ত্রী দাবি করেছেন, গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে যে কথা বলা হচ্ছে তা অর্ধসত্য। একপেশেভাবে বদনামের চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এই মামলায় অধীররঞ্জন চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, আবু হেনা, নেপাল মাহাতো, অশোক ভট্টাচার্যদের মতো আরও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতৃত্বের নাম রয়েছে বলেও দাবি ব্রাত্য-ফিরহাদদের।
বুধবার বিধানসভা থেকে ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, শিউলি সাহা, অরূপ রায় একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তৃণমূলকে একপেশে আক্রমণের অভিযোগ তুলে ফিরহাদ বলেন, ‘নির্বাচনী হলফনামায় আয়-ব্যয়ের সব হিসাব দিয়েছি। আয়কর দফতর কোনও পদক্ষেপ করেনি। রোজগার করা, সম্পত্তি বাড়ানো অন্যায় নয়। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়। রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা। বিজেপির বি টিম হয়ে কংগ্রেস-সিপিএম আক্রমণ করছে। অর্ধেক তথ্য প্রকাশ করছেন কেন?’ তাঁর আক্ষেপ, ‘মানুষের কাজ করার জন্য নিজেদের সুখ শান্তি রেখে এসে রাস্তায় নেমেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। কখনও রাজনৈতি উদ্দেশ্যে, কখনও চক্রান্ত করে আমাদের অসম্মমানিত করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, ব্রাত্য বসুর দাবি, ভোটে হেরে গিয়ে কুৎসার রাজনীতি করছে বিরোধীরা। তিনি বলেন, ‘আজকে আদালতের পুরো রায় আপলোড হয়েছে। সেই কপি আমরা পেয়েছি। তারপরেই এই সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছি।’ এরপরই ব্রাত্য জানান, ‘ওই তালিকায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গাঙ্গুলি, আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, রূপরানি মণ্ডল, চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতো, মোহিত সেনগুপ্তরও।’ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘সিপিএম-কংগ্রেস নিয়ে আমি মন্তব্য করছি না। এটা আদালতের পর্যবেক্ষণ (যেটি ব্রাত্যরা বললেন)। গত দু’দিন ধরে এই ধারণা তৈরি হল, তৃণমূলের লোকেদেরই শুধু সম্পত্তি বেড়েছে। শুধুমাত্র তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের দাগিয়ে দেওয়া হল। চাইব, গণমাধ্যম সবটা প্রকাশ করুক।’