রাজ্যের কোন স্বাস্থ্যজেলার কোন হাসপাতাল থেকে বিগত একবছরে কত রোগী নিখোঁজ হয়েছে তার একটি সমীক্ষা করে স্বাস্থ্য ভবন। সেই তালিকায় চোখ রেখে যেমন পাঁচ জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে, তেমনই ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলার তথ্য দেখেও খুশি স্বাস্থ্যকর্তারা। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত তাঁর উদ্যোগেই কোভিডের টিকায় ব্যাপক সাফল্য পায় এই স্বাস্থ্যজেলা। মূলত, তাঁর উদ্যোগেই এই সাফল্য এসেছে বলে মনে করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। রোগী পরিষেবা বা করোনার টিকাকরণের ক্ষেত্রেও প্রথম সারিতে ছিল ডায়মন্ড হারবার। এবার এল আরও এক সাফল্য। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্যজেলার কোনও হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ হয়নি। অর্থাৎ একজন রোগীও নিখোঁজ হয়নি ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলায়।
এই জেলার কোনও হাসপাতাল থেকে একজন রোগীও নিখোঁজ হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের এই রিপোর্ট পৌঁছেছে নবান্নে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল বা কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে মাঝেমধ্যেই রোগী নিখোঁজের খবর মেলে। সেই সময় ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার এহেন দক্ষতায় মুগ্ধ স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষকর্তারা। যে পাঁচটি জেলাকে রোগী নিখোঁজ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে সেগুলি মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া ও মালদহ। এই পাঁচ জেলাকে নবান্নের তরফে সতর্কও করা হয়েছে। জেলা ও সাবডিভিশন হাসপাতালে যাতে রোগীদের উপর নজরদারি চালানো হয়। বিশেষ করে প্রবেশ পথ ও হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় কোনও ব্যক্তির আচরণে অসংলগ্ন ব্যবহার থাকে তবে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের এই তথ্য পরিসংখ্যানে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলার এক উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
